‘মানুষ
বন্ধু’ লেখার পর আমার সেই বন্ধুকে জানাই – “বুঝলি তোর কথা লিখে ফেলেছি”। (কেমন
দিলাম গোছের হাসি)
মানুষ –
ভয়ঙ্কর।
আমি – “তাও
গামছা পড়ে বাথরুমে যাওয়ার প্রথম অভিজ্ঞতা
লিখিনি, বাড়াবাড়ি হয়ে যেত বলে”। ( এটা নিরীহ মুখে)
মানুষ – “বাঁচিয়েছিস”।
পড়ার পর,
মানুষ উবাচ – “তুই আমার বিয়েতে এসেছিলি তো, ভুলে গেছিস?
আর আমি
এখন রানিগঞ্জে, দুর্গাপুর হয়ে গেল কেন?
তোর বাড়ি
গিয়ে রাত হওয়ায় রানিগঞ্জ থেকে কানেকটিং বাস পাইনি, সারা রাত স্টেশন
ওয়েটিং রুম-এ ছিলাম।
আমার বিয়েতে
তুই একা নয় তোর মেয়ে আর বরও এসেছিল, উখরা-তে, রাত্তিরে ছিলিস।
কারেক্শন
কর”।
আমি – “একদম
স্মৃতি গেছে রে, এ হে হে হে...( মাথা চুলকে), তা তুই যে সারারাত স্টেশনের ওয়েটিং
রুমে ছিলিস তা তো বলিস নি (খেয়েছে, কী হাল আমার পাল্লায় পড়লে!)!”
মানুষ – “সব
ভুলে মেরেছিস!”
আমি – “(ভয়ানক
লজ্জিত, ইয়ে ইয়ে টাইপের মুখ করে) এক্ষুনি কারেকশন করে দিচ্ছি”।
হা হা হা......আত্ম জীবন লিখে রাখার কথা মাথায় থাকলে এখন থেকে টুকরো-টাকরা স্নগশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিয়ে কারেকশন করাতে থাকুন...তবে, আমারও একই অবস্থা, আপনি কত করে জিজ্ঞেস করলেন, আর আমি পাশ কাটিয়ে কাটিয়ে গেলাম, মোদ্দা কথা হোলো এই...বিষ্মরণ
ReplyDeleteসত্যি-মিথ্যের গোলোকধাঁধাঁয় পড়েছি। রত্নদীপ বলছে, মানসের বিয়েতে যায়নি, মানস বলছে, আমরা গেছি। আর আমি পড়েছি ধাঁধাঁয়।
ReplyDelete