Friday, December 29, 2017

বছরশেষে


কিছুতেই পৌঁছেতে পারি না আকাঙ্ক্ষিত শব্দের কাছে। শুধু পুড়ে যাই

শব্দের ঘরবাড়ি বানাই, সিঁড়ি আঁকি মুঠো ভরি শব্দের বৃষ্টিফোঁটায়।

তবু পারি না

দিনশেষে, বছরশেষে দেখি শূন্য খাতা, অর্থহীন আঁকিবুকি কাটা।

পৌঁছতে পারি না আকাঙ্ক্ষিত শব্দের কাছে

তবু লিখি, লিখে যাই পুড়িপুড়ে যাইএবং রক্তপাতে।

Friday, December 1, 2017

চিত্রকর


কত যে ছবি আঁকে চেনা মানুষ

কাগজে কলমে আর ক্যানভাসে;

আমিও চিত্রকর অচেনা এক

কী যেন খুঁজে ফিরি কোন আশে!

তুলির টানে সাজে শব্দেরা

বর্ণমালারা আঁকে ছেঁড়া চাদর,

রঙের ঝাপটা কালো আঁকিবুকি

গদ্য-কবিতায় ভরা আদর।

কত যে ছবি আঁকে চেনা মানুষ

শব্দ আলো জ্বালে সাদা খাতায়;

আমি যে চিত্রকর অচেনা এক

সামিল হয়েছি আজ সেই হাঁটায়।


বিষণ্ণতার তুলির রেখা


শীতের বেলার হাতে একটা বিষণ্ণতার তুলি আছে। রোজ সে দুপুরের ঝলমলে রোদ্দুরের ক্যানভাসে এক একটা তুলির টান দেয় আর একটু একটু করে রোদ্দুর মুছে সন্ধ্যা নেমে আসে। একেবারে শেষে বেশ কিছুটা অন্ধকার নিয়ে ঝুপ করে বুলিয়ে দেয় যেন। আর অমনি একটা ঠান্ডা মনখারাপ চেপে বসে বুকের ঠিক মধ্যিখানে। কখন অন্ধকার হয়ে যায়।

পতাকাহীন


লেকটাউনের মুখে এসে দেখি একদল মানুষ চলেছে মিছিল করে। অনেক মানুষ। অথচ তাদের হাতে কোনও পতাকাও নেই, মুখে কোনও স্লোগানও নেই! নিজেরা হাসতে হাসতে গল্প করতে করতে চলেছে। কেউ বা চুপচাপ। অথচ মিছিল করেই যাচ্ছে।

ভারী আশ্চর্য লাগল। ঠাওর হল না কিচ্ছু। নাহ, বিয়েবাড়ির দল, পুজো কিছুই না। স্রেফ পতাকাহীন একটা মিছিল কেমন আমাকে পেরিয়ে চলে গেল। একটুু এগোতে আবার একটা দল। এটা একটু ছোট অবশ্য।

ভাবি, অনেকদিন পর মানুষের মিছিল দেখলাম! এমন কেন হয় না লাল নীল গেরুয়া সবুজ সব পতাকা ফেলে মানুষ শুধু মানুষ হয়ে পথে নামবে ওই পতাকাধারী ক্ষমতালোভীদের বিরুদ্ধে।

পতাকাও তো মানুষকে আলাদা করে ধর্মের মতোই।