Sunday, July 10, 2016

জীবন থেকে কবিতাগুলো ঝরে পড়তে থাকে কেবলই...

Friday, July 8, 2016

কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে...

আমার বুকের ভেতর নি:শব্দে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেয় সে। সেই আলোয় ঝরে পড়ে গভীর আত্মাভিমান, খসে যায় স্বার্থপরতার আলগা আবরণখানি। চেনা মানুষকে নতুন করে চিনতে পারি আবার।

আমার প্রাণের গভীর গোপন মহা আপন সে কি...

ঘুমের ঠিক আগের মুহূর্তে মায়া ছড়িয়ে দাও তুমি আমার শরীর-মনের পৃথিবীতে। শব্দের মায়া নয়, এ কল্পলোকের। শেষ বিকেলের আলোয় যখন গাছের হলুদ পাতারা উড়তে উড়তে আলতো নরম করে মাটিকে ছোঁয়, সেই রাঙা আলোর মায়া। বর্ষায় শুকনো ডালে যখন সবুজ পাতারা প্রথমবার ছলোছলো চোখে তাকায় সেই সবুজ আনন্দের মায়া। চোখের পাতা বুজে আসার ঠিক আগে বুকের মধ্যে পরশ পাই আমার সেই গভীর আপনজনের।

Sunday, July 3, 2016

স্পর্শ

স্পর্শের মধ্যে লুকিয়ে থাকে স্মৃতির জাদু।
সেই পেন্সিলের শীষে থাকেসাদা কাগজে যা ফুটিয়ে তোলে লুকানো রূপকথা ছবি।

সিলভিয়া প্ল্যাথের একটি লেখার দ্বারা অনুপ্রাণিত

চিহ্নিত মৃত্যু বনাম নিশ্চিহ্নকরণ

একদল জঙ্গী যখন কয়েকজন মানুষকে হত্যা করে তখন নাম-পরিচয়ে-আত্মীয়তায় সনাক্তকরণে আমরা বিদ্ধ হই, রক্তাক্তও। আর রাষ্ট্র যখন এক একটা বোমার আঘাতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে তখন তারা একেবারে সব শুদ্ধু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। অপরিচিত আমরা সে ছবি দেখতে দেখতে অনায়াসে ডিনার শেষ করে ফেলি। কই রক্তাক্ত হই না তো? ফ্রান্সে জঙ্গী হানার জন্য প্রোফাইল পিক বদলাই। সিরিয়ার ওই যে চার বছরের শিশুটি ক্যামেরা দেখে বন্দুক ভেবে মাথার ওপর হাত তুলেছিল, তার সামনে মাথা নীচু করি না তো!! কারণ সে আন আইডেন্টিফায়েড। অথচ সে কিন্তু এই তৃতীয় বিশ্বেরই শিশু।

ফার্স্ট ওয়ালর্ড কান্ট্রিগুলোর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের ফসল এই জঙ্গী বিশ্ব।

রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দেওয়ার এটাও একটা উপায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির অভ্যন্তরে জঙ্গীদের লালন করা।


সন্ত্রাস তো সন্ত্রাসই হয়। তা যে নামেই হোক। ক্ষুদ্র সন্ত্রাস দিয়ে বৃহৎ সন্ত্রাসকে চিরকাল ঢেকে রাখা কি সম্ভব?

Saturday, July 2, 2016

বৃষ্টির হীরে-মানিক কুচি

সে জানে কেমন করে কবিতা আঁকা হয় অথবা চিঠি। বেদনার আখর বুনে বুনে। আনন্দের শেষ তুলির টানে। সে জানে কতটা তার সত্যি আর কতটায় কাটাকুটি থাকে। সে জানে কোন শব্দটা নিঃশেষে মোছা হয়েছিল আর কোনটায় কাজলের দাগ ছিল বাকি। শুধু সেই জানে কথা আর কবিতার সঙ্গম উষ্ণতা।

সেই সব জানে, যে বৃষ্টি এনেছিল ভরা রোদ্দুরে। 
বৃষ্টির হীরে-মানিক কুচি।

গোপন

সব মুছে দিতে পারি -
সমস্ত স্মৃতি ও যন্ত্রণা।
পারি বলেই সঙ্গোপনে থাকো।
পারি বলেই নিভৃত বেদনা।

একদিন?

একদিন বৃষ্টিতে ভিজবি? /বৃষ্টিফোঁটার সঙ্গে ফিরিয়ে দিবি তোর অসমাপ্ত কবিতা? /একদিন? /একদিন মেঘ ছিঁড়ে আলো এসে পড়বে সেই শব্দের অনুরণনে। /ভিজে হাওয়ায় কাঁপবে হারানো আখরগুলি।  /শব্দগুলো ঝরে পড়বে শ্রাবণের ধারার মতো মুখের পরে, বুকের পরে। /একদিন।

সন্ত্রাস তো সন্ত্রাসই হয়, যে নামেই ডাক না তাকে

একটি প্রতিবেশী দেশের ধর্মীয় সন্ত্রাস বারবার আমাদের নাড়া দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের অন্য প্রতিবেশী দেশেও ধর্মীয় সন্ত্রাসের নিয়মিত ঘটনা ঘটছে। ঘটছে আমাদের নিজের দেশে ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। ধর্মীয় সন্ত্রাসও তো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অন্তর্ভুক্ত কোন না কোনভাবে। আসলে সন্ত্রাস তো সন্ত্রাসই যে নামেই ডাক না তাকে।

যেহেতু এবারের সন্ত্রাসে পশ্চিমী দুনিয়ার কিছু লোকজন মারা গেছেন তাই এই ঘটনার একটা সুদূরপ্রসারী রূপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যথায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মানুষ কি আর মানুষ? নিজেদের মধ্যে হানাহানি করে যত মরে বোকার মতো ততোই মঙ্গল। পশ্চিমী আগ্রাসনের স্পষ্ট রূপ যে নানান মুখোশে ঢাকা সন্ত্রাস তাদের চেয়ে কেউ ভালো জানেনা। কিন্তু নিজেরই শিল-নোড়া যদি নিজেরই দাঁতের গোড়া ওপড়ায় তখন তো নড়ে বসতেই হয়।

ভোটের আগেপিছে এ রাজ্যে যে মানুষগুলো বিরোধী দলের লোক বলে চিহ্নিত হয়ে মারা গেল, কিম্বা যেসব নিরীহ যুবকেরা মরল গণপিটুনিতে তাই নিয়ে কোথায় প্রতিবাদ? চিরকাল এমনটাই হয়ে এসেছে বলে হাত ধুয়ে ফেলা যায় কি? সন্ত্রাস সন্ত্রাসই হয় যে নামই দাও তাকে।

আমি ধর্ম মানিনা আর রাজনীতিও বুঝিনা। শুধু অনুভব করি আমরা কেউই আজ আর নিরাপদ নই কোথায়ও। এই নিরাপত্তাবোধহীনতা প্রতিমুহূর্তে কুড়ে কুড়ে খায়। প্রতিবাদ করা মানেই তুমি চিহ্নিত। তুমি শত্রু।


আমরাই আমাদের শত্রু। আমাদেরই অস্ত্র আজ আমাদেরই ধ্বংস করছে। অক্ষমের রাজত্বে এমনই হওয়ার কথা। আমরা সবাই অক্ষম। সক্কলে। যারা মারছে, যারা মরছে আর যারা দাঁড়িয়ে দেখছে।