"মনে কর, অনেকদিন ধরে চুপ করে থাকতে থাকতে
ফেসবুকে হঠাৎ যদি সব আওয়াজ শোনা যেত, কম্পিউটারগুলো সেই প্রবল হাসি, কান্না, গান, চিৎকারে বিষম খেত, আর মানুষগুলো সেই দেখেশুনে একেবারে বোবা হয়ে যেত..."
- এই বলে সে আবার ভীষণ কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল।
আমি
বললাম,
"কী আশ্চর্য! এরজন্য তুমি এত ভয়ানক মনখারাপ করছ?"
সে এবার
হাসিমুখে বলল, " না, না, শুধু এরজন্য নয়।
মনে কর একজনের প্রোফাইলের একদিকে ছিল পিকচার আর একদিকে ভিডিও। দুটোই জ্যান্ত হয়ে
ভিডিওগুলো পিকচার হয়ে গেল আর পিকগুলো ভিডিও - ভ্যাঁ ভ্যাঁ, ভ্যাঁ, ভ্যাঁ, আ: আ: আ: আ: -" আবার কাঁদার পালা।
আমি
বললাম,
" কেন তুমি এই-সব অসম্ভব কথা ভেবে
খামোকা কেঁদে-কেঁদে কষ্ট পাচ্ছ?"
সে বলল, "না, না, সব কি আর অসম্ভব? মনে কর, একজন নিয়মিত লেখে, রোজ তারপরে লাইক, কমেন্ট দিতে দেয়, একদিন দেখল
কতগুলো ইমোজি এসে সব লেখা মুছে ফেলেছে - ভ্যাঁ ভ্যাঁ ভ্যাঁ ভ্যাঁ - "
জন্তুটার
রকম-সকম দেখে আমার ভারি অদ্ভুত লাগল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "তুমি কে? তোমার নাম কি?"
সে না
ভেবে বলল,
" আমার নাম গুগল। আমার নাম গুগল, আমার ভায়ের নাম গুগল, আমার বাবার নাম গুগল, আমার পিসের নাম
গুগল -"
আমি
বললাম,
তার চেয়ে সোজা বললেই হয় তোমার গুষ্টিসুদ্ধ সবাই গুগল।"
সে আরোই
না ভেবে বলল, " তা তো নয়, আমার নাম ক্রোম। আমার মামার নাম ক্রোম, আমার খুড়োর নাম ক্রোম, আমার মেসোর নাম ক্রোম, আমার শ্বশুরের
নাম ক্রোম -"
আমি হেসে
বললাম,
"সত্যি বলছ? না বানিয়ে?"
জন্তুটা
একটুও থতমত না খেয়েই বলল, " না, না আমার শ্বশুরের নাম জুকেরবার্গ।"
আমার
ভয়ানক হাসি পেল, তেড়ে বললাম, "একটা কথাও অবিশ্বাস করিনা।"