Thursday, October 6, 2016

কাহিনির নির্মাণ অথবা কিছুই না

তাকে সকলেই একসঙ্গে দেখতে পেয়েছিল অথবা কেউই পায়নি। সকলেই শুনতে পেয়েছিল অথবা ভেবেছিল পেয়েছে।

সে নারী অথবা পুরুষ অথবা যে কোনও কিছুই। তার কোনও অবয়ব ছিল অথবা ছিল না।

কথাটা শুনেছিল সকলেই অথবা ভেবেছিল।

কেউ কেউ প্রশ্ন করেছিল, কেন? অথবা তুমি কে?

কেউ বলেছিল, যদি না বলি?

সবাইকে একটা করে ধারণা ভাবতে হবে অথবা গল্প। তাও না পারলে কোনও সূত্র।

তোমরা সবাই আমার চরিত্র। উত্তর না দিলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। সবচেয়ে ভালো উত্তরটা নিয়ে একটা কাহিনি লেখা হবে। কাহিনির চরিত্রেরা কখনও মারা যায় না।

কী করে বুঝব সত্যি না মিথ্যে? আবারও প্রশ্ন করেছিল কেউ কেউ। অথবা এইসবই ছিল তাদের ভাবনার মধ্যে প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো।

নতুন কিছু বলতে হবে যা কখনও লেখা হয়নি।

আমি গল্প ভাবতে পারি না একজন চিৎকার করে উঠল।

জীবনকে ভাব। কে যেন উত্তর দিল কানে কানে।

জীবন খুব সাধারণ। আমরা ব্যতিক্রমী নই। বলে উঠল অনেকগুলো কন্ঠস্বর।

ব্যতিক্রমী হলেই কি অন্যরকম হয়? খোঁজো।

যদি চেনা গল্প অন্যভাবে বলি। যদি মিশিয়ে দিই সাদা-কালো, ধর্ম-অধর্ম।

সেটা তোমার পছন্দ।

এক মুহূর্তের নিরবতা। তারপর কেউ প্রশ্ন করল কিন্তু বলব কাকে? কে তুমি?

নিজেকে বল। নিজের কাছে বল। আমি সব শুনতে পাই। সব দেখতে পারি।

শালা, নিজেকে ঈশ্বর ঠাওড়াচ্ছে - কে যেন বিরক্ত গলায় হিসহিস করে উঠল।

ঈশ্বর তো যে কোনও কেউ হতে পারে যদি চেষ্টা কর।

ধপ করে বসে পড়ে লোকটি।

সে একজন সাধারণ মানুষ। বলে চলেছিল তার আপন কাহিনি, রাগে, ক্ষোভে, চোখের জলে, আনন্দে।

এ তো রোজকার গল্প। এ আবার নতুন কি? যে এগিয়ে এসেছিল সে ছিল একজন সৈনিক। সীমান্তের পাহারাদার। তার ঝুলিতে সব রোমাঞ্চকর ঘটনা।

কথা বলতে বলতে বদলে যাচ্ছিল ঘর বাড়ি, দৃশ্যপট। এমন কী চরিত্রেরাও।

এরপর কে এগিয়ে আসবে অথবা মুখ বুজে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এমনটা ভাবছিল অনেকেই। অথচ তারা যে কোনও কেউই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে খাদের ধারে বা পাহাড়ের মাথায়, বুঝছিল না। অথবা বুঝতে পারছিল কিন্তু ভাবতে চাইছিল না।


আমি এদের সকলকেই দেখছিলাম অথবা দেখছিলাম না, নির্মাণ করছিলাম। অথবা এর কোনটাই আসলে সত্যি ছিল না।

No comments:

Post a Comment