শঙ্করীদি
টিভিতে বাংলা সিরিয়াল দেখে। কানে আসে। মাঝে মাঝে চোখও চলে যায়। সেইসব টুকরোটাকরা
দেখে মনে হয় সিরিয়ালের পরিচালকরা ঠিক কী ভাবে? আর দর্শকরাও।
সিরিয়াল
মূলতঃ হয় পরিবারকেন্দ্রিক। তাও আবার অধিকাংশই যৌথ পরিবার গোছের! আবার তার মধ্যে
প্রায় প্রত্যেকের হয় গোটা দুয়েক বিয়ে নয় অন্ততঃ একটা পরকীয়া থাকতেই হবে এবং অবশ্যই
রিভেঞ্জ (প্রতিশোধ শব্দটা জমবে না)। এতকিছুর পরেও মহিলাদের হয় সতীসাধ্বী নয় ভয়ানক
কুচক্রী টাইপের হতে হবে। সত্যি যাঁরা অভিনয় করে তাঁদের এলেম আছে বলতে হবে, বাস্তবে
তো এতকিছু একটা মেয়ের পক্ষে সম্ভবই নয়।
কোন একটা সিরিয়ালের এক খামচা দেখে যা
বুঝলাম, স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়েছে, উভয়েই আবার বিয়েও করে ফেলেছে। তারপর উভয়ের
পুরোনো প্রেম উথলে উঠেছে এবং শেষ পর্যন্ত আবারো মিলন হল। এই কাজের সুবিধার জন্যে
ডিভোর্সটা পরিচালক করেননি। মানে যা দাঁড়ালো, তিন জোড়া বিয়ে ভেঙে একজোড়ায় দাঁড়িয়ে
মেয়েটির প্রেম এবং সতীত্বের পরীক্ষা হল। কী ভাগ্যিস সীতা এ যুগে জন্মাননি, আধুনিক
সতীত্বের পরীক্ষায় ডাঁহা ফেল করতেন। আর আমি ভাবছিলাম, পরের যে স্বামী হয়েছিল অথবা
স্ত্রী, কার সঙ্গে পরিচালকের কনট্রাক্ট ফুরিয়ে ছিল? এই যেমন, উত্তমকুমারের বেশ
দেখতে নাতিটাকে ব্লাস্ট করে উড়িয়ে দিল দেখলাম। আহা বেচারা, ওর সঙ্গে নিশ্চয়
কনট্রাক্ট ফুরায়নি। বেচারা বউটা সতীত্বের পরীক্ষা থুড়ি অভিনয় করতে করতেই গেল।
এরপরে আবার গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে শঙ্করীদি বলে, এরকম হয় জানো বৌদি? শঙ্করীদির নাহয়
ক্লাস ফোর পর্যন্ত বিদ্যা। শিক্ষিত গৃহবধূদের কথাও ছেড়েই দিলাম, যেসমস্ত চাকুরীরতারা বাড়ি ফিরে
জিনস-টপ ছেড়ে বাংলা সিরিয়ালে মগ্ন হয় তাদের কথা ভাবছিলাম...
ওই রে
শঙ্করীদি এসেছে!!
No comments:
Post a Comment