দার্জিলিং যাইনি। -
"যাবে তো যাও নীলপাহাড়ি
সেথায় নড়ে সবুজ দাড়ি..."
- তা পথে নীলপাহাড়ি দেখলাম, রংলি রংলিওট চা বাগানও।
তবে সবুজ দাড়িটাড়ি বাপু চোখে পড়েনি। বদলে একটা নীল-সবুজ
ঝলমলে ময়ূর।
নিস্তব্ধ রাত্তিরে কুকুরের ডাক ছিল বটে, তবে কক্ষনো হাঁড়িচাচায় গান ধরেনি।
আর হোম স্টের মাথায় পূর্ণিমার চমৎকার চাঁদের গা দিয়ে কালো মেঘ ভেসে যাওয়ায় যখন সাইকো সিনেমার একটা শট মনে পড়ছিল, আমি আর মেয়ে ওয়্যার উলফের ডাক ডাকার একটা
চেষ্টা করছিলাম জোরসে।
রাত্তিরে খেয়ে ওঠার সময় সিঁড়িতে কী একটা ভয়ানক ঠক ঠক করছিল
ঠিকই, কিন্তু
গোটা হোম স্টেতে সেদিন রাতে শুধু আমরা তিনজনে থাকলেও কুন্ডু মশাই মোটেও মুণ্ডু
নাচাতে আসেননি। সেটা মেসির জন্য কিনা তা অবশ্য বলতে পারব না।
ওমা, মেসি কে তাও বলিনি বুঝি! বাদামী রঙের মস্ত বড়
আদুরে কুকুরটা। ওই ওদেরই পোষ্য। সারারাত আমাদের ঘরের সামনে শুয়ে থাকল সে।
সকালে বৃষ্টি কাটতে চা বাগান আর পাইন গাছের ভেতর দিয়ে
পাকদণ্ডী বেয়ে ঘুরে এলাম পায়ে হেঁটে। হ্যাঁ, মেসিই তো পথ দেখিয়ে শর্টকাট চিনিয়ে নিয়ে এল।
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা হল না, তা হোক, সত্যিই তিনচুলে বেশ ফাইন।
No comments:
Post a Comment