Tuesday, December 1, 2015

কেন সব কুকুরগুলো সহসা চেঁচায় রাতে?

কয়েকদিন আগে ঘরে বসেই শুনতে পাচ্ছিলাম পাড়ার কয়েকজনের আলাপের টুকরো। আলাপের বিষয় ছিল রাজনীতি এবং মোদ্দা কথাটা ছিল এরপর কোন দলে থাকব। একজনের মন্তব্য শুনলাম, না না তৃণমূলেই, কতবার আর বদলাব? লোকে কী বলবে?

আসলে রাজনীতি যাঁরা করেন তাঁদের অধিকাংশই করেন আখের গোছানোর জন্য। একমাত্র এখনও বামপন্থী কিছু মানুষ আছেন এবং থাকবেন যাঁরা আদর্শগতভাবে বামপন্থাকে সমর্থন করেন তাই পার্টি করেন। যদিও তাঁদের এই আদর্শ কতটা বাস্তবে কার্যকরী হয় সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। তবে বামেদের এমন একটা ভাবাদর্শের মুখোশ আছে যে এতটুকু কিছু দেখলেই মানুষ অনেক বেশি সমালোচনা করেন। কিন্তু অন্যরা চোর-ছ্যাঁচ্চোড় হলেও এবং সেই সব কাজই খোলাখুলি করলেও মানুষ ধরে নেয় যে এরা তো চোর হবেই, এটাই তো স্বাভাবিক। একই লোক তাই যখন বাম নেতা থাকেন তখন সমালোচিত হন কিন্তু উলটে গেলেই আমরা অনায়াসে বলি, আরে লোকটা তো চোরই, এতে আশ্চর্য হচ্ছ কেন?

দলে গুন্ডা পোষা কী কৃষক-শ্রমিক মৃত্যু কোনো নতুন ঘটনা নয়, কিন্তু ঢাক পিটিয়ে অজস্র বেকার খাতে টাকা দিয়ে একেবারে খোলামেলাভাবে ভোট কেনার চেষ্টা চোখের এই চামড়াহীনতা এইটা আগে ছিল বলে আমার মনে পড়ে না। অবশ্য রাজনীতি আমি কিছু বুঝিনা এবং খুব ভুলোও। তবু কিছুতেই মনে করতে পারলাম না।

অনেক কিছুই আমার মাথায় একদম ঢোকে না। যেমন, কেউ যদি ভালো কাজ করে, তাকে তো মানুষ অমনি সমর্থন করবে, তাহলে ভোট কেনার চেষ্টা করার তো দরকারই থাকে না।

মন্ত্রী-আমলারা চুরি-জোচ্চুরি করে অনেক টাকা নিয়ে করবেটা কি? দেওয়ালে কী কমোডে রেখেটাই বা কী হবে?

সাধারণ মানুষ, যাঁদের অনেকেই ভোট, রাজনীতি বা স্বাধীনতার অর্থই বোঝেন না, তাঁরা কেন দূর-দূরান্ত থেকে এসে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন? এক শ্রেণীর মানুষ আছেন যাঁরা খেতে না পেলেও ভোট দিতে পারলে একটা গৌরব অনুভব করেন।


অনেকদিন আগে একটা পোস্ট এডিটোরিয়াল লিখেছিলাম – ‘খেতে পাওয়া এবং বেঁচে থাকা মানুষের অধিকার, রাষ্ট্রের কর্ত্তব্য’। এখন সব কেমন ভুলভাল লাগে নিজেরই। আসলে বোধহয় ভাবাটাই অর্থহীন।

2 comments:

  1. হতাশ লাগে, তবু হওয়া যাবে একটাই কারণে, আপনি চান বা না-চান, আপনার অজান্তেই আপনার দিকে তাকিয়ে আছে কেউ কেউ, তারা দেখছে, বুঝছে, এই মানুষটার আর কিছু না থাক, সত্যদ্রষ্টা চোখ আছে, দরদী মন আছে...আপনি জানেন না আপনাকে দেখে হতাশ হয়ে পড়ছে না কেউ কেউ।

    তাদের হতাশ হওয়া আটকাতে হবে

    ReplyDelete