Monday, December 21, 2015

টুকরো লেখা

১) আগে প্যাসেঞ্জারদের গাড়ি থেকে নামতে দিন, তারপরে উঠবেন - নাহ্‌, এটা বাসের কন্ডাক্টরের উক্তি নয়, বহরমপুর কোর্ট স্টেশনের অ্যানাউন্সমেন্ট।

২) গান এবং ভালোবাসা দুটোর মধ্যে একটা মিল আছে, হৃদয় না ছুঁলে কোনোটাতেই পৌঁছানো যায় না। আসলে দুটোই তো যাত্রা। বাউল গানের মূলে আছে ভালোবাসা। অথচ গানে ক’জন তা ছুঁতে পারে? বাউল-ফকির উৎসবে গান শুনতে শুনতে দেখতে দেখতে ভাবছিলাম।
প্রাণের মানুষ প্রাণে না থাকলে তাকে কোথাও যে পাওয়া যায় না। আত্মার মধ্যে তাকে খুঁজতে ফিরতে হয় নিজের কাছেই।
গান আমাদের সেখানে পৌঁছে দিতে পারে। কিন্তু তেমন গান গাইতে পারে ক’জন? ক’জন পারে নিজের মধ্যে ফিরতে?

৩) চারদিকে নানা মানুষের নানা গবেষণার টুকরো কথা – কতটা কানে গেল আর কতটা প্রাণে সেইটা হল ভাববার।

৪) জলঙ্গীর এই জায়গাটার নাম মনসাতলা। চার কিলোমিটার মতো মাঠ আর ক্ষেত পেরোলেই পদ্মা। ওপারে বাংলাদেশ। সেই ওপারে আমার দেশের বাড়ি ছিল – মাঝে মাঝেই ‘কোমলগান্ধার’ মনে পড়ে আজকাল।


৫) চারদিকে সর্ষে ক্ষেত – দিকদিগন্ত আলো করে আছে। আজান-এর সঙ্গে গল্প করছিলাম ছাদে। হঠাৎ দেখি ওর সঙ্গিনী সুজান ন্যাড়া ছাদের পাড় থেকে উঠে আসছে। হাতে এক গুচ্ছ সর্ষেফুল। বিলিয়ে দিল আমাদের একটু একটু করে। কিন্তু কেমন করে ছাদ থেকে মাঠে গেল এবং ফিরে এল বুঝলাম না – পাইপ বেয়ে না গাছ! জিজ্ঞাসা করিনি। নেমে এসে ফুলটা  মাথায় গুঁজে নিলাম।

৬) খুব সাধারণ মানুষের মধ্যে গেলে বোঝা যায়, মানুষ মানুষকে স্বভাবগতভাবে ভালোবাসে। না-ভালোবাসা অথবা বিভেদ সমাজের দ্বারা আরোপিত। মূলতঃ এই বিভেদ সৃষ্টিই সাম্রাজ্যবাদের বেঁচে থাকার শক্তির উৎস। সে বিভেদ ধর্মীয় হোক অথবা জেন্ডার বিভাজন।
ওই রে আবার সাম্রাজ্যবাদ! পালাই বাবা।

No comments:

Post a Comment