এ মণিহার
আমায়... গভীর দরদ দিয়ে সবে ধরেছিলাম, হঠাৎ, গানটা থামা, দিচ্ছি, দিচ্ছি...। থেমে
গেলাম। বিস্মিত আমি ভাবি, আমাকে কী দেবে শঙ্করীদি? তারপরেই বুঝি আমাকে নয়,
বেড়ালকে। না, তালব্য শ নয়, লাঞ্চ। আমাদের ফ্ল্যাটবাড়িটায় একটা আওয়াজ সর্বস্য বেড়াল
আছে। বুই অবশ্য বলে, ওটা বেড়াল নয়, বেড়ালের ভূত। ঠিক খাওয়ার সময় হলেই রান্নাঘরের
পেছনে একতলা থেকে আওয়াজ আসে, ম্যাও, ম্যাও। আর শঙ্করীদির উত্তর শোনা যায়। যতক্ষণ
না ভাত মেখে রান্নাঘরের জানলা দিয়ে আওয়াজ লক্ষ্য করে নীচে ছুঁড়ে দেবে ততক্ষণ এই
উত্তর-প্রত্যুত্তর চলতেই থাকবে। এই যে দিন পনেরো বেড়াতে গিয়েছিলাম, ফিরে আসতেই
হাসি হাসি মুখে শঙ্করীদি বলল, এ ক’দিন তো মাছ ছিল না বৌদি, দুধ কিনে এনে ভাত মেখে
খাইয়েছি। ভাবছিলাম, একেই বোধহয় বলে ম্যাও সামলানো!
এছাড়া,
যথাবিহীত নিয়মানুযায়ী, তীর্থের কাক, শালিক এবং চড়ুইয়েরা তো আছেই। পিছনের
ফ্ল্যাটবাড়িটা উঠে যাওয়ায় তাদের জানলা চমৎকার দাঁড়ের কাজও করছে। কাকের তাগিদা,
শঙ্করীদির বকুনি, শালিকের পরবর্তী লাইনেই ছিলাম বাবা এবং অবশেষে চড়ুইয়ের খুঁদকুঁড়ো
– জমজমাট শঙ্করীদির সংসার। অনেকদিন পর এক কানের মাথার ওপরটা কিছুটা কাটা নিপাট
নিরীহ ভালোমানুষ কুকুরটাও এরমধ্যে ফিরে এসেছে।
অতএব
আমাদের তিনজনকে বাদ দিলেও শঙ্করীদির পোষ্যর সংখ্যা বাড়তির দিকেই।
No comments:
Post a Comment