Wednesday, September 9, 2015

হোমওয়ার্ক

কালান্তরে কাজ করার সময় রোজ সকালে উঠে হোমওয়ার্ক করে যেতাম। মানে টিভি চালিয়ে সেদিনের প্রধান প্রধান খবরগুলো দেখে যাওয়া একঝলক অথবা তলার স্ক্রোলগুলোতে চোখ বোলানো। একেকদিন ইচ্ছে করত না, সেই তো একই খবরের এপিঠ আর ওপিঠ। সেদিন না পড়াশোনা করেই ইস্কুল থুড়ি অফিস যাওয়া।

সহকর্মী অমিতদা ছিলেন খবরের জাহাজ এবং অসম্ভব ভালো মনের মানুষ। পড়া না করে গেলে অমিতদার শরণাপন্ন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অল্পকথায় পড়া তৈরি করে দিতেন।

সেই অমিতদাও কালান্তর ছেড়েছিলেন জানি, কিছুদিন টিভির এক চ্যানেলে ছিলেন। তারপরে আর খবর নেই। শেষবার ফোনে খুব অদ্ভুত কথাই কিছু একটা বলেছিলেন। কেমন একটা নিরুদ্দেশের সুর ছিল তাতে, জীবনের প্রতি অভিমানেরও।

আমার স্বল্পকালীন কর্মজীবনে যেকজন সত্যিকারের সাংবাদিককে দেখেছি তাঁদের মধ্যে অমিতদা অন্যতম। কিন্তু বাস্তবে অনেক কম মেধার মানুষ স্রেফ ধরতাইয়ের জোরে উন্নতি করেছে আর হারিয়ে গেছে অমিতদারা।

ভাগ্যিস এখন রোজ ন্যাশনাল আর ইন্টারন্যাশনাল নিউজ লিখতে হয়না, তাই টিভি বন্ধ করে রাখলেই চলে।

শুধু কাগজের পাতা ওল্টালে খবরের মান দেখে অমিতদাকে মনে পড়ে খুব।


ভাবি গেল কোথায় মানুষটা?

1 comment:

  1. এ প্রসঙ্গে, একটি ইংরাজি দৈনিকে ছাপা একটি কার্টুনের কথা বলি। দেখেছেন বোধহয়। বন্যায় ভেসে গেছে আসাম। জলমগ্ন কুড়ের চালে স্বামি-স্ত্রী। স্বামির হাতে প্ল্যাকার্ড, তাতে বড় বড় করে লেখা, I also had affair with Indrani Mukherjee." বৌ আশ্চর্য, "why are you doing all this?" লোকটি বিপন্ন, "If only this way we can draw media's attention."

    ReplyDelete