Wednesday, March 23, 2016

এবং ফেলুদা

অন্য রাজ্যের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোর মধ্যে পুরী আর বেনারসের তিনটে মিল। এক, উভয় জায়গাতেই বাঙালি গিজগিজ করছে। যদিও সে অর্থে ভারতবর্ষের সর্বত্রই দেশীয় ট্যুরিস্ট বলতে বাঙালিই প্রধান। মানে বাঙালি বেড়াতে যায় আর অন্যান্য রাজ্যবাসীরা ট্যুরিজম থেকে রোজগার করে। তারাও বাংলায় আসে, খুব আসে, মানে একেবারে বাঙালিকে কোনঠাসা করে ফেলে তার নিজের মাটিতেই, তা হল অবাঙালি ব্যবসায়ীরা। আমবাঙালি চাকরিবাকরি করে, কলকাতার থেকে দূরে, আরও দূরে সরে গিয়ে অবাঙালি কনট্রাকটরদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনে, আর তারপরে সারা পৃথিবী ভ্রমণ করে।  সে তো গেল অন্য কথা, আমি পুরী আর বেনারসের মধ্যে মিল দেখছিলাম। 
দুই, উভয়ই লালমোহনবাবুর ভাষায় জমজমাট জায়গা। সকালবেলার বেনারসের ঘাট আর সন্ধ্যেবেলার পুরীর সমুদ্রতীরের মধ্যে বেশ একটা মেজাজের মিল আছে। হাঁটতে হাঁটতে স্বর্গদ্বারের কাছটায় চলে এলে আবার মণিকর্নিকার কথা মনে পড়ে যায়। 
আর তিন নম্বর মিলটা হল ফেলুদা। বেনারসে গিয়ে মছলিবাবার আড্ডা খোঁজার মত এবারেও যথারীতি ফেলুদা আর তপসে মিলে দুর্গাগতি সেন-এর বাড়ি সাগরিকা খুঁজতে বেরিয়েছিল। জটায়ুর শরীরটা বিশেষ সুবিধার না থাকায় তাকে বাদ দিয়েই। তপসে ফিরে এসে বলল, সেটা পাওয়া গেছে, তবে বন্ধ থাকায় ঢোকা যায়নি।

No comments:

Post a Comment