রাতের
মোট সাতটা ওষুধের মধ্যে সুগারের একটা, প্রেশারের দুটো, ফাইব্রোমায়ালজিয়ার তিনটে আর
সাইক্রিয়াটিক ড্রাগ একটা। দিনে আবার সুগারের দুটো ওষুধ আছে যার একটা হচ্ছে রাতের
ওষুধ আর দিনের অন্য ওষুধটার মিক্স কম্বিনেশন। এটা দেখতে অনেকটা রাতের ওষুধটার মতো।
আবার প্রেশারের একটা ওষুধ আর ফাইব্রোর একটা ওষুধ প্রায় একইরকম দেখতে। মানে
ব্যাপারটা অনেকটা দাবা খেলার কালো ঘরের গজ আর সাদা ঘরের গজের মতো। হয়তো দেওয়া উচিত
ছিল সাদা গজ আর উল্টোদিকের ঘোড়াটা, ঘোড়া যদিবা ঠিক গেল গজ গেল উলটে। ব্যস আর যায়
কোথায় ঘোড়া, মন্ত্রী সব খেয়ে সে এক যাচ্ছেতাই কাণ্ড। তাই আমি রাতের ওষুধ খাওয়ার
সময় সাধনার মতো বসি। খেয়ে উঠে কিছুটা ফাঁক। মানে এরপর অনেকটা জল গিলতে হবে তার
প্রস্তুতি। এরপরে কী কী ওষুধ খেতে হবে সেগুলো বাক্স থেকে বের করে একদিকে জড়ো করা।
এই সময় থেকে কারোর কোন কথা বলা চলবে না। দু-একদিন উত্তর দিতে গিয়ে ভুল ওষুধ খেয়ে
ফেলেছি। এরপরে ঠিক ঠিক সিঙ্গল বা ডাবল বের করা। এরও একটা সিকোয়েন্স আছে – সুগার, প্রেশার, ফাইব্রো,
সাইক্রিয়াটিক। এরপরে একটা করে বিষয়ের ওষুধ একটি বা দুটি, যেটা যেমন, তা খেয়ে সেইটা
বাক্সে তুলে রাখা। মানে একটা একটা দান দেওয়ার মতো। সবকটা শেষ হলে একটি বৃহৎ
দীর্ঘশ্বাস। যাক, আজকের মতো খেল খতম।
No comments:
Post a Comment