Thursday, March 9, 2017

আমাদিগের ভ্রমণবৃত্তান্ত - কেউ মরে বিল সেঁচে কেউ খায় কই


আমি অধ্যাপিকা নই। কোনও গ্রান্ট পাইনি এই কাজের জন্য। অথচ এই ঐতিহাসিক কাজটি আমার করা। এবং বইটি ইতিমধ্যেই গাংচিল থেকে প্রকাশিত। আমার উদ্ধারের আগে কেউ জানতই না যে অবলা বসু ভ্রমণকাহিনি লিখতেন। কেউ জানত না যে ১৮৭০ সালে আদৌ কোনও বাঙালি মেয়ে ভ্রমণকাহিনি লিখেছিলেন কিনা। এই সব তথ্যই আমার বইদুটির থেকেই নেওয়া। অথচ টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত লেখায় সব তথ্যই জনৈক জয়তী গুপ্তের নামে। ভদ্রমহিলা নাকি দীর্ঘদিন ভ্রমণ নিয়ে গবেষণা করছেন! কী জানি বাপু! যাঁর ১৮৭০-১৮৪৫ এই সময়সীমায় এখনও অপ্রকাশিত কাজটি। এর বহু আগে আমার বইটির প্রকাশিত প্রথম পর্ব আনন্দবাজার ও এই সময়ে রিভিউয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। আমার কাজের সময় সীমা ১৮৬৩-১৯৪৭। না, আমার কোনও চেনা জানা নেই কোথাও। রিভিউ বেরোয়নি এখনও।

এরা কী জানে যে একেকজনের ইতিহাস উদ্ধার করতে কতটা জুতোর সুকতলা খইতে হয়? এরা কী জানে একেকজনের ইতিহাস উদ্ধার করতে কতটা গলাধাক্কা খেতে হয়। এরা কি জানে কত শত বই পড়তে হয় একেকজনের ইতিহাস জানতে?

টুকে টুকে কি সরস্বতীর শ্বেতপদ্ম পাওয়া যায়? জগদীশচন্দ্রের কথা মনে পড়ছে খুব।

ধিক্কার জানাই এই কাজের।

সময় তাকেই মনে রাখবে যে ঠিক কাজটি করেছে।

জীবনে অনেক বাধা পেয়েছি, পেরিয়েছি। মা বলে, কাজ করে যা। কাজটাই তোর উত্তর।

No comments:

Post a Comment