অন্ধকারে হাঁটছিলাম। দূর থেকে তার লন্ঠনের আলো পথ দেখাচ্ছিল।
আলো ক্রমশঃ কাছে আসছিল। লাল-নীল রঙিন আলো-ছায়া কাঁপছিল দেওয়ালে। তারপর কখন যেন অন্ধকার
কেটে আলোর রাজ্যে এসে পৌঁছালাম। সে এক অনন্ত আলোর ভুবন। আলোর সেই প্লাবনের উৎস কোথাও খুঁজে না পেয়ে ফিরে
তাকালাম নিজের দিকেই। দেখি, আমার প্রাণের গভীর গোপন মহা আপন সেই আলো আমায় ভরিয়ে
উছলে উঠে ছড়িয়ে যাচ্ছে দিকে দিগন্তরে।
শুধু সেই লন্ঠনওলাকে আর কোথাও দেখলাম না। বুঝলাম, তার কাজ
ফুরিয়েছে এতদিনে। যাবার আগে সে তার বৃষ্টির হীরে-মানিক কুচির অরূপরতন হারটি পরিয়ে
দিয়ে গেছে আমার গলাতেই। পথের সেই ক্ষণিক থেকে চির সাথীকে নমস্কার জানিয়ে আমিও
এগিয়ে চলি।
No comments:
Post a Comment