ছবি
পরিচালনার ডিগ্রি এবং আন্টিক শপ আর ফ্লি মার্কেট খুঁজে পাওয়া পুরোনো ফটো জমানোর সখ
এই ছিল র্যানসম রিগের ঝুলিতে। পুরোনো এইসব ছবিগুলির অনেকটাই ছিল নানা কারণে বেশ
অদ্ভুতই। নিজের সংগ্রহের পুরোনো ছবি ঘাঁটতে গিয়ে হঠাৎ করেই খেয়াল করেন, এর বেশিরভাগ ছবিই ছোটদের! তাঁর মনে কৌতূহল জমে ওঠে এইসব
ছবির শিশুদের কাহিনি জানবার। আর তা সম্ভব নয় বলেই মনে হয় নিজেই নাহয় গল্প গেঁথে
তুলি। ধারাবাহিক এই সিরিজের প্রথম বইটিতে লেগেছে মাত্র ৫০ টি ফটো। আর তার জন্য
ঘেঁটেছেন এক লক্ষ ফটোগ্রাফ। এই অধ্যবসায় না থাকলে ছোটদের জন্য সেই মাপের লেখা যায়
না হয়তো।
শুধু
অধ্যবসায়ই নয়, থিমের বৈচিত্র্যর কথাও বারবারই
বলতে হয় ইংরেজিতে লেখা ইয়াং আডাল্ট জাঁরের ক্ষেত্রে। এই কাহিনির শুরুতে 'প্রোলোগ' অংশে লেখক
গল্পের মূল চরিত্রের ঠাকুরদাদার জীবনের কথা নিয়ে এসেছেন। আসলে সেই গল্পটা জার্মান
হানায় দেশ থেকে পালিয়ে আসা এক ইহুদি শিশুর কাহিনি। যে হারিয়ে ছিল আত্মীয়স্বজন
সবাইকেই আর মানুষ হয়েছিল এক অরফানেজে। অথচ বৃদ্ধ যখন নাতির কাছে গল্প করেন তখন
তাঁর কল্পনায় জার্মান সেনারা হয়ে ওঠে 'মনাস্টার' আর অরফানেজ রূপকথার পুরী, যেখানে নানান বয়সী ম্যাজিকাল শিশুরা তাঁর সঙ্গী হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু সেই কাহিনি এই গল্পের পশ্চাৎপট মাত্র। মূল কাহিনির নায়ক আজকের এই ছেলেটি।
সেই গল্প সবে শুরু করেছি পড়া।
জার্মানদের
হাতে ইহুদী নিধনও হতে পারে একটি কিশোর উপন্যাসের পটভূমি! আর পুরোনো ফটোগ্রাফ হতে
পারে গল্প লেখার ইন্ধন! সত্যি কুর্ণিশ লেখককে। বইটির আরেক আকর্ষণ ফটোগ্রাফগুলি।
এবারেও
বইমেলার বইপড়া শুরু মেয়ের সংগ্রহ উলটেই। আমাকে সমৃদ্ধ করার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদটা
সবার আগে প্রাপ্য ওরই।
No comments:
Post a Comment