Monday, November 7, 2016

আমাদের ছুটি আন্তর্জাল ভ্রমণপত্রিকার নতুন সংখ্যা প্রকাশিত

সম্পাদকীয় -

আর সব শারদীয়া বেরিয়ে গেল, 'আমাদের ছুটি'-র এত দেরি কেন লেখক-পাঠকদের থেকে এমন অনুযোগ প্রায়ই পাচ্ছি। পত্রিকা পড়ার জন্য এই আন্তরিক আগ্রহ ভালো লাগছে আমাদেরও। পত্রিকাটি বছরে চারটে সংখ্যার বেশি প্রকাশ করে উঠতে পারি না আমরা বৈশাখ, শ্রাবণ, কার্তিক আর মাঘে। তাই বর্ষার পরে অক্টোবরের শেষাশেষি বা নভেম্বরের শুরুতে পত্রিকার নির্ধারিত সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়। অনেক শারদ সংখ্যা তো এখন জুলাই মাস থেকেই পড়া শুরু হয়ে যায়। হেমন্তের মনকেমন করা বিকেল-সন্ধ্যার অবসর না হয় খানিক কাটিয়ে তুলুক 'আমাদের ছুটি'

বেশ কিছুকাল ধরেই 'আমাদের ছুটি'র পাতায় পুরোনো বাংলা ভ্রমণকাহিনির স্বাদ পাচ্ছেন পাঠকপাঠিকারা। সেই ইতিহাস উদ্ধার পর্বের শুরুটা প্রকাশিত হল এবার ছাপার অক্ষরেও। ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি ভারতবর্ষে রেলপথ চালু হয়। তার আগে বাঙালি মেয়ে তীর্থে বেরোলেও তার কোনও লিখিত দলিল চোখে পড়ে না। আঠারোশ সত্তরের দশকে এক বাঙালি তরুণী 'বম্বাই' বেড়াতে গিয়ে লিখল তার ভ্রমণকাহিনি 'আমাদিগের ভ্রমণ বৃত্তান্ত'। লেখিকার নামের উল্লেখ ছিল না। অবশ্য তার আগেই আঠারোশ ষাটের দশকে 'বামাবোধিনী' পত্রিকা প্রকাশের তিনমাসের মধ্যেই কবিতায় তাঁর ভ্রমণকথা লিখেছিলেন রমাসুন্দরী।

একবিংশ শতকের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের এক মফঃস্বলী মেয়ে লিখতে শুরু করেছিল ভ্রমণকাহিনি। নিজের বেড়ানোর কথা লিখতে লিখতে আর ভ্রমণপত্রিকার সম্পাদনা করতে করতে তার মনে প্রশ্ন জাগে আমার আগে কারা লিখেছিল বেড়ানোর গল্প, কোথায় গেল সেইসব লেখা?

এর উত্তর খুঁজতে বিভিন্ন গ্রন্থাগারে, বইমেলায়, আন্তর্জালের অলিগলিতে এবং আরও নানা সম্ভাব্য, অসম্ভাব্য জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে গড়ে ওঠে আরেক ভ্রমণকাহিনি 'আমাদিগের ভ্রমণবৃত্তান্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর বঙ্গমহিলাদের ভ্রমণকথা'। উনিশ শতকের বাঙালি নারীদের বাড়ির বাইরে বহির্বিশ্বের আঙিনায় পা রাখার গল্প উঠে আসে একুশ শতকের বাঙালি মেয়ের কথায় ও তাদের লেখা 'কাহিনি'তে।

এরই প্রথম পর্ব প্রকাশিত হল 'গাঙচিল' প্রকাশনা থেকে। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রকাশক অধীরদাকে।

No comments:

Post a Comment