Saturday, August 27, 2016

ইচ্ছে নামক আত্মা

তীব্র ব্যথাটা নামছিল একটু একটু করে পরপর কতগুলো ব্যথানাশক ওষুধেব্যথার জায়গা তখনও শক্ত হয়ে আছেব্যথা নেই অনুভূতিটা ছড়িয়ে যাচ্ছিল সর্বত্র মনে হল, হয় ঘুমিয়ে পড়ছি অথবা গতবারের মতো মস্তিষ্কের সঙ্গে দেহের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছেতখন অবশ্য ব্যথার ব্যাপারটা ছিলনাসম্ভবত দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্রও নেই

গ্লুকোজে মুখ, চোখ আর ঘাড় পর্যন্ত সাড় ফিরল (তার থেকে বেশি কিছু হওয়ার ছিলনা কারণ ঘটনাটা সুগার ফল নয়) আর তখন একটা আশ্চর্য অনুভূতি হল এমনটা আগে হয়নি কখনও। মনে হল ঘাড়ের নীচ থেকে বাকিটা একটা মৃতদেহ (যদিও নাড়াতে না পারলেও অনুভূতি ছিল কিন্তু পাথরের মতো ভারী লাগছিল অবশ্য যা ওজন আমার, বেচারা দেহের আর দোষ কি?)। আর তার ভেতরে আমার বেঁচে থাকা আত্মাটা শরীরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য যেন ছটফট করছিল বাইরে স্থির অথচ ভেতরে তখন কুরুক্ষেত্র একবার মনে হচ্ছে এই বোধহয় হাতের আঙুলের ডগাটা একটু নড়ল নড়ল...ওই যাহ, হোলোনা এবারও এই বোধহয় পাটা একটু নড়বে নাহ, তাও না একটুখানি কি পাশে নড়ব? ভিতরে ভিতরে কী সোরগোল কী নিরন্তর ছুটোছুটি - অথচ বাইরে তার কোনও মৃদু কম্পনও নেই!

যাইহোক, এ যাত্রা ঘন্টা দুই-আড়াই পরে আবার আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে এল গতবারের মতো সারাদিন ভোগায়নি কিন্তু সেটা লেখার জন্য বিশেষ কিছু নয় এই যে আমার ভেতর আর বাহিরের কাণ্ডকারখানা সেইটা লিখে রাখার মতো বলে মনে হল

No comments:

Post a Comment