Saturday, October 3, 2015

চাঙ্গায়নী সুধা

ডাক্তার অজয় মুখার্জীর কাছে গেলাম। জিজ্ঞেস করলেন, কেমন আছেন? বললাম, আপনার ওষুধে সবে মনে হচ্ছিল সেরে উঠছি তো ভাইরাল জ্বরে আমায় কাত করে ফেললে। আর এই নিত্যি অসুখ হতে হতে ইদানীং মাথাটাও আরও বিগড়োচ্ছে, যাকে যা নয়, তাকে তাই বলে ফেলছি। আপনি বরং আমায় ওষুধপত্র না দিয়ে পোয়াটাক চাঙ্গায়নী সুধা দিন কিম্বা হাল্লার রাজাকে মন্ত্রীমশাই যে ওষুধটা দিলেই রাজার গোঁফদাড়িগুলো খাড়া খাড়া হয়ে উঠতো আর এক লাফ দিয়ে নেমে চিৎকার করে উঠতেন, যুদ্ধু যুদ্ধু, সেইটে দিলেও আপাতত চলবে। আসলে আজ ২ তারিখ হয়ে গেল, ১০ তারিখে লাদাখের জন্য রওনা দেব কীনা, এখনও তো কোঁ কোঁ করছি আর ঝিমোচ্ছি আর মাঝে মাঝে রেগে গিয়ে চ্যাঁচাচ্ছি।

ডাক্তারবাবু দেখেটেখে বললেন বেশ আছেন, যেতে কোনো অসুবিধা নেই, এই না বলে খসখস করে কীসব লিখে দিলেন। বেড়াতে তো আমি এমনিও যাব, ওমনিও যাব। কোমরে যখন প্রবল স্পন্ডাইলোসিসের ব্যথা নিয়ে গোটা চারেক ব্যথার ট্যাবলেট খেয়েও একশোটার ওপর সিঁড়ি ভেঙেছি তখন এতো নিতান্ত তুরুশ্চু ব্যাপার।

আসলে কোথাও বেড়াতে গেলেই আমার মনে হয় জীবনটা বড্ড ছোট, আর তো আসার সুযোগ পাব না, তাই সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে যতটা পারি দেখে নিই, উপলব্ধি করে নিই, কিচ্ছু যেন বাদ না পড়ে, এমন কী কোথাও কিছু সময়ের চাপে বাদ পড়লে রাস্তার মধ্যেই কাঁদতে বসেছি আর হলনা এ জীবনে বলে। বেড়াতে যাওয়াও একধরণের চাঙ্গায়নী সুধা বৈকী।


তবে যদি সেরে উঠি তাহলে চাঙ্গায়নী সুধার জন্য সক্কলকে আমি এই ডাক্তারকেই রেফার করব ভেবেছি। কেমন দেখলেই আধখানা রোগ সেরে যায়। তাহলে বাকী আধখানা আর থাকে কী করে?

No comments:

Post a Comment