Thursday, August 31, 2017

ভুল ভাঙাতে


গত কয়েকদিন ধরে আমার পোস্ট কবিতা ইত্যাদি পড়ে যাঁরা ধরেই নিয়েছেন আমি বড্ড খারাপ আছি, তাঁদের ভুল ভাঙাতেই এই পোস্টাচ্ছি। কিছু অসুস্থতা বাদ দিলে হয়তো জীবনের সেরা প্রোডাক্টিভ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। খুব খুশী আছি। আর সেই জায়গায় পৌঁছেচি বলেই নিজের জন্য মুখ খোলার উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়েছে।

আগেও বলেছি, এখনো বলছি, কারোর সহানুভূতি, ইস টিস পাবার জন্য কোনোদিন লিখি না। ওমা, সহানুভূতি, ভালোবাসা পাবার সত্যিকারের যখন দরকার ছিল, সুদূর দিগন্তেও কাউকে দেখতে পাইনি। এখন বাপু বিস্তর লোকজন আমাকে ভালোবাসে। আর যারা ভালোবাসে তারা তো আর সহানুভূতি দেখায়না, ভালোইবাসে, অনুভব করে সমস্যাগুলো।

আমার কিছু শারীরিক সমস্যা আছে, সেই রিলেটেড মানসিক সমস্যা। তাতে নিজের কাজ সময়ে করতে না পারলে বেশ চাপ পড়ে। সত্যি বলতে কী গতকাল প্রুফের লাইব্রেরী ওয়ার্কটা শেষ করতে পেরে কী যে ফূর্তি হয়েছে কী আর বলব। সেই আনন্দে আজ বারটা অবধি মানে দুপুর আর কী টেনে ঘুমালাম। সকালে ডেকে তুলে পাঁউরুটি পোচ আর চা খাইয়ে গিয়েছিল অবশ্য কর্তামশাই।

তিরিশ বছর পরে শুনে যাঁরা বুঝতে পারছেন। সামনাসামনি কমেন্ট করছেন, উৎসাহ দিচ্ছেন বা অসুবিধা থাকলে মেসেজ করছেন তাঁদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর যাঁরা এত কিছুর পরেও আমার ভুল খুঁজতে বসছেন তাঁদেরকে বলি, নমস্কার ভালো থাকুন। আমাকে বিরক্ত করবেন না।

তিরিশ বছর আগে গৌরী আচার্য, উত্তরা বসু, অমিতা কী যেন টাইটেল এরা মিলে যে অবোধ বালিকাকে খুন করেছিল, সে আজকের আমি নই। কোনো কোনো মানুষ নিজের চিতার আগুন থেকে নিজেকে গড়ে নেয় ফিনিক্স পাখির মতো। সেটাই এই আমি।

আর নামগুলো লিখতেই কিছু কিছু মানুষের বড্ড গায়ে লাগল। কী মুশকিল আপনার সন্তানের সঙ্গে আজ এই ঘটনা ঘটলে তো এই নামগুলো দিয়েই থানায় এফ আই আর করতেন। কোর্টে তুলতেন ডেকে ডেকে। আমি মাত্তর ফেসবুকে বলেছি বলেই এত্ত গায়ে লাগছে!

আর কেবলস মরে গেছে এই সত্যিটা বলায় যারা বড় বড় মহৎ কথাটথা বলছেন, তাদের বলি, মশাই কেবলস কেন মরল? আপনি তো ওখানেই ছিলেন, তা বাঁচাতে পারলেন না? হঠাৎ আমার কথায় খামোখা ফোঁস ফোঁস করছেন কেন? আমি কি সেই আগেকার দিনের মুনি-ঋষি নাকি? শাপ-টাপ দিয়ে দিলাম আর ফলে গেল? পারেন বাপু আপনারা।

আর সত্যিই, সিলভিয়া প্ল্যাথ যদি 'ড্যাডি' কবিতাটা ওদেশে না লিখে এখানে লিখতেন, আর দেখতে হতো না। বিখ্যাত এই কবিতাটা আমায় এমন নাড়া দিয়েছিল যে আমি তাঁর লেখার ভক্ত হয়ে গেছি।

এই জন্য বলে, সত্যি কথা বললে বন্ধু ব্যাজার।

সেদিন মরে গেলে কিচ্ছু বলতে আসতাম না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ বেঁচে তো আছিই আরো বহুকাল বাঁচব, উঁহু ব্যথা আর মাঝে মাঝে উলটে পড়লেও। এমনিতেই এসব বলেটলে বেশ আরামই হয়েছে মনে। এদ্দিন অপেক্ষা করেছি তো। তিরিশ বছর কী আর মুখের কথা মশাই?

আজকে বিকেলে চিংড়ি মাছের মালাইকারী আর পেন্ডিং মুড়িঘন্ট সঙ্গে প্রুফটার ফাইনাল চেক আপ। আপাতত এই।

No comments:

Post a Comment