আমার
হাতে এফ আই আর এর কোনও নথি নেই। নেই হাসপাতালের রিপোর্ট।
যদিও
সাক্ষীরা বেঁচে আছে। সাক্ষ দিক অথবা না। সকলেই তো সত্যি বলতে পারে না। তাহলে
পৃথিবীটা অন্যরকম হতো।
আছে
স্কুলে দেওয়া ডাক্তারের সার্টিফিকেট-এর একটা কপি। সেইসময়ের যাবতীয় ডাক্তারের
প্রেসক্রিপশন, ই ই জি রিপোর্ট, স্কুলের রেজাল্ট,আমার ডায়েরি।
সর্বোপরি
বেঁচে আছে আমার কলম।
তিরিশ
বছর আগে স্কুলের কিছু শিক্ষিকার চক্রান্তে এবং এক অন্যায় ঘটনায় আমি মারা যেতে
পারতাম। কিন্তু মরিনি। মারা গেছে সেই সংস্থা, যার হাতে ছিল সেই স্কুল। এটাই বাস্তব। মূলে ছিল উত্তরা বসু ও গৌরী আচার্য।
সেই ঘটনা
আমার মনে এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে যার জন্য আমার জীবনের নানা ক্ষেত্রে বারবারই মনে
হয়েছে আমাকে কেউ মেরে ফেলতে চাইছে। এবং বিনা কারণে আমাকে যে মারতে চাইছে তাকে আমি
ছেড়ে দেব না।
এত বছর
পরে আমার এই মনোভাবের শিকড় খুঁজে পেয়ে যখন সেই জায়গার লোকজনকে জানালাম, তখন আমাকে সেই গ্রুপ থেকে সরিয়ে দিল।
যেন
এভাবেই মেরে ফেলতে পারবে আবারও।
ওরা ভুলে
গেল আমার হাতে কলম আছে।
আর
সিলভিয়া প্ল্যাথ বলেছেন, যে কোনও কিছুই
লিখে ফেলা যায়।
তিরিশ
বছর আগে বছর ১১-১৫ বছরের একটি মেয়ের ওপর যে ধারাবাহিক মানসিক অত্যাচার হয়েছিল
হিন্দুস্থান কেবলস স্কুলে তা আমি লিখব। সর্বত্র লিখব।
এইটাই
আমার প্রতিবাদ। প্রতিশোধও। যদি আইনি লড়াই করা যেত, তাহলে বলতাম, ধর্মাবতার, আমার হারিয়ে যাওয়া সময়, আমার যন্ত্রণার দিনগুলির বদলে আনন্দ, আমার সুস্থতা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমি এই বিচারই চাই।
No comments:
Post a Comment