Saturday, February 6, 2016

কলকাতা বইমেলা

ফেসবুকের পাতায় কলকাতা বইমেলা বেশ জমে উঠেছে। অনেকেই কবে যাচ্ছি জানিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করছেন, গুণীজনদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। সেইসব ছবিই ঘুরেফিরে আসছে আমার নোটিফিকেশনে। দেখতে দেখতে ভাবছিলাম।

আমার ধারণা ছিল বা আছে, বইমেলায় গেলে শুধু বইদের সঙ্গেই আড্ডা দিতে হয় পাতা উলটে দেখে, খানিক পড়ে, কখনও লোভ সামলাতে না পেরে কিনে নিয়ে বাড়িতে ফিরেও। মনে পড়ে ছোটবেলায় সেই মফঃস্বল থেকে বইমেলায় আসতাম। লম্বা লাইন দিয়ে টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকে স্টলে স্টলে ঘুরে বেড়ানো। তখন অন্ততঃ গোটাকতক বই আমি বিভিন্ন স্টলে বসেই পড়ে শেষ করতাম। বই নিয়ে মাঠে ঘাসের ওপর বসেও পড়া চলত।

এখন শুধু সপ্তাহের দিনগুলোয় দুপুরবেলায় একটু সময় নিয়ে আস্তে ধীরে বই দেখা যায়। অন্যদিন তো মন্দিরে ঢোকার মতো অবস্থা এক গেট দিয়ে ঢুকে কোনমতে ফুল-বেলপাতা দিয়ে আরেক গেট দিয়ে বেরিয়ে যাও।

বইমেলায় হঠাৎ কোনও চেনা মানুষ অথবা বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে বেশ লাগে। তবে বইদের সঙ্গে বন্ধুত্বটা একা একাই ভালো। অথবা নিজেরা মিলে।

নামীদামী লোকজনকে আমি চিরকাল এড়িয়ে চলি। তাঁদের লেখাই আমার কাছে তাঁদের সান্নিধ্য। ব্যক্তিমানুষকে দূরে রাখাই ভালো আমার মনে হয়।

কলকাতা বইমেলার শেষদিন আমাদের বিবাহবার্ষিকী। এটা কাকতালীয় নয়, একেবারেই দিনক্ষণ দেখেই করা। কোনবার তারিখ মেলে, কোনবার না। তবু শেষদিনটায় বইমেলায় যেতে বেশ লাগে, হোক ভিড়, তাও।


আর যেমনই হোক না কেন, যেখানেই বই থাকে, সে লাইব্রেরী হোক, কারোর বাড়ি হোক অথবা বইমেলা সে জায়গা আমার প্রিয় হবেই।

No comments:

Post a Comment