ঈশ্বর লোকটি ভীষণ সুবিধাবাদী এবং প্রয়োজনমত তাঁর অবস্থান
বদলান। ঈশ্বর ভীষণ মেপে কথা বলেন, ভেবে কথা বলেন, কারণ তাঁর প্রতিটা কথার মূল্য রয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। ঈশ্বর লালের
সমালোচনা করে সবুজ হন, তারপর সবুজের সমালোচনা করে কোনো একটা নিজস্ব নেই রঙে
বদলে নেন নিজেকে। কারণ লাল বা সবুজের থেকে অনেক বড় ঈশ্বরের নিজস্ব অবস্থান এবং
তাঁর নিরাকার নিজস্ব রঙ। তাঁকে ঘিরে অজস্র ভক্তের দল স্তবগান করে। অবিশ্বাসীদের
তিনি মধ্যে মধ্যে সীমিত দয়া দেখিয়ে থাকেন যাতে তাঁরা নিজেদের ভুল বোঝে অথবা নিন্দা
করতে না পারে। কিন্তু স্তব যাঁরা করেন না, তাঁদেরকে
খুব নম্র এবং ভদ্রভাবে আপন বৃত্তের বাইরে রাখেন। যারা উচিত কাজ করেন না তাঁরা শাসক
হলেও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি জানেন, এতে তাঁর বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই, ঈশ্বর তো সবসময় বিপদসীমার উর্দ্ধেই থাকেন, বিপদসীমায়
থাকে সেইসব মেয়েরা এবং মানুষেরা যারা সমাজের নীচের তলায়। ঈশ্বর দীনভাবে থাকলেও
মানুষ জানে তিনি আপারক্লাস সিটিজেন, যাঁদের সামান্য কিছু সমালোচনা ছাড়া
আর কোনো আঁচড় পড়ে না গায়ে। ঈশ্বর শাসকের কঠোর সমালোচনা করেন, সেই শাসক লাল বা সবুজ যাই হোক না। ভক্তের দল তালে তালে মাথা নাড়ায় এবং ঈশ্বরের
টি আর পি বাড়ে।
ঠিক এইজন্য ঈশ্বর অথবা বুদ্ধিজীবি কাউকেই বিশ্বাস করিনা
আমি।
No comments:
Post a Comment