পুজো
আসছে,
বয়স
বাড়ছে আমাদেরও -
লক্ষ্মী-সরস্বতী, মা দুর্গা।
পুজো
পেয়েছি বছর বছর
এখন তো
নিত্যি পুজোর ঘটা।
সেই কোন
আদ্যিকালে কে যেন বলেছিল -
ইয়া দেবী
সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা...।
মনে পড়ে
পুরনো সব গল্প -
সেকালে
বালবিধবা মেয়ের গর্ভে
সন্তান
আসতো মাঝে মাঝেই।
পোয়াতি
মাকে মরতে হত নিঃশব্দে।
নদীর জল
তো কম ছিল না কোনদিনই
আর নাহলে
টোটকা,
জড়িবুটি।
বেঁচে
থাকা সহজ নাকি?
সমাজের
কড়া শাসন -
একাদশীতে
জল না খেয়ে মরো
তখন তো
পর্দানসীন ছিলাম।
এখন পথে
বেরোই -
গৃহকর্মনিপুনা, চাকুরিরতা।
দিল্লি, গোয়া, রানাঘাট, কামদুনি -
বৃদ্ধা
সন্ন্যাসিনী থেকে নির্ভয়া।
খুন হই
অথবা ধর্ষিতা।
কাগজ, টিভির হেডলাইন
মুচমুচে
করি সেই আমরাই।
গল্পটা
প্রায় একই আছে।
প্রেক্ষাপট
বদলেছে সামান্য।
তারপর, গল্পের শেষে কী হলো? শোনো তবে,
রক্ত
মুছে প্রতি বছর আবার প্রতিমায় সেজে উঠি।
উৎসব
অথবা মচ্ছব আমাদের ঘিরে
ওই যে কী
যেন এখনের পূজা মন্ত্র?
ঢাকের
তালে শরীর দোলে...।
তবু কান পেতে থাকি নিয়ত
সমস্ত কলরোল ছাপিয়ে
সমস্ত কলরোল ছাপিয়ে
যদি কখনো শোনা যায় -
যদি কেউ বলে এ জীবনে -
যদি কেউ বলে এ জীবনে -
ইয়া দেবী
সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা...।
বাঃ, এই তো। খুব সুন্দর লিখেছো
ReplyDeleteধন্যবাদ সুবীরদা
ReplyDeleteধন্যবাদ সুবীরদা
ReplyDelete