বল দেখি
বাঁচা কাকে বলে?
বল দেখি
মরে যাওয়া কি?
বল দেখি
রোদ্দুর মানে?
বল দেখি
হরিণ কি জানে?
বল দেখি
কাকে বলে চেনা?
কাকে আজ
আলো বলে ডাকে?
ভালোবাসা
বাসা যায় নাকি?
হৃদয়
কোথায় পড়ে থাকে?
বল দেখি
সোজা কাকে বলে?
কাকে
ডাকে বাঁশি বলে আজো?
কে জানে
প্রলাপ আছে নাকি?
কথাহীনতার
মাঝখানে?
ভুলে
যাওয়া শব্দকে চিনিস?
ডানা
নিয়ে চলে গেল কবে?
একমুঠো
গন্ধরা যাবে?
ওদের
খুঁজতে এখনো?
জল থেকে
রঙ নিয়ে এলি?
আমাকে
লিখলি আকাশে?
গল্পদের
বলে এসেছিস?
তারাদের
ভাসাতে ক্যানভাসে?
রামধনু
কেঁদেছিল কবে?
চিঠি কেউ
লেখেনিতো তাকে?
চিঠি কেউ
লেখেনিতো তাকে।
কেউ তাকে
মনে রাখেনি তো।
নাম ধরে
কেউ ডাকেনি তো।
রাতভোর
বৃষ্টির ফাঁকে
সেই শুধু
ভেসেছে প্রলাপে।
সেই শুধু
ভেঙেছে প্রলাপে।
কবিতাটা বেশ কয়েকবার পড়লাম, আর প্রত্যেকবারই নতুন নতুন দিক খুঁজে পেলাম। কিছু আপাত অবান্তর প্রশ্ন, কিছু স্মৃতিঘেরা নস্টালজিয়া আর কিছু বাঁধভাঙা আবেগ কি শুধুই প্রলাপ? সেই প্রলাপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সংবেদনশীল মনটাকে বুঝতে পারাই তো প্রকৃত সহানুভূতি।
ReplyDeleteতোমার অনুভব মনকে ছুয়ে গেল সুদীপ্ত।
ReplyDeleteবেশ ভালো লাগলো। চলিয়ে যাও।
ReplyDeleteআমিও একাধিকবার পড়লাম কবিতাটি। এই লেখার ধরনটায় একটা অনুরণন আছে মনে হোল। প্রথম লাইনটা, পরেরটাকে, পরেরটা তার পরেরটাকে অনুরণিত করছে, সেই অনুরণনে আমিও অনুরণিত হলাম খানিক পড়তে পড়তে, আবার খানিক খানিক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লাম। তবে শেষের স্তবকটিতে আপনি স্বমহিমায়, সপাট এবং এখানে এসে বারবার খুব ভালো লাগছে কবিতাটা। ভালো সন্পাপড়ি মুখে দিলে যেমন গিলে যায়, শেষের ৬টা লাইন তেমনই লাগছে। আমার আরো মনে হয়েছে শেষের স্তবকটি এসেছে আগে...আর বাকিটা ওর এক্সটেনশন। খুব ভালো লাগল।
ReplyDelete