কলকাতার
রাস্তায় মাঝে মাঝে দেখি তোকে -
মেট্রোয়
হয়তো ব্যস্ত কথোপকথনে;
কখনোবা
ট্যাক্সির পিছনের সিটে
খেয়াল
করতে না করতেই ক্রসিং পেরিয়ে গেছিস।
কখনো
দেখেছি পাশের বাসের জানলাটা
আমার
জানলার পাশ দিয়ে ডানা মেলে চলে গেছে যখন -
হাতে বই, অথচ চোখে অন্যমনস্ক দৃষ্টি।
মনে মনে
ভেবেছি ঠিক স্টপেজে নামলে হয়!
ইদানীং
কলকাতার রাস্তায় মাঝে মাঝেই তোকে দেখতে পাই -
চৈত্রের
বিকেলে যখন লাল পলাশ বা কৃষ্ণচূড়ার আগুন
চোখে পড়ে
যায় কংক্রিটের এই শহরের পথে।
বৃষ্টিতে
দেখেছি লাল-নীল ছাতাদের ভীড়ে,
অথবা মনকেমন
করা জুঁইয়ের সুবাসে।
শরতে-হেমন্তে-শীতে-বসন্তে
ঋতুর মতোই
বদলাতে
থাকিস তুই কলকাতার পথে পথে।
আর আমি
তোকে দেখতে দেখতে একলা পেরিয়ে যাই ক্রসিংগুলো।
শেষ
যেদিন চোখে পড়ল সেদিন ঠিক আমার আগে আগেই হাঁটছিলি তুই -
একা, মাথাটা ঝুঁকিয়ে, পাটা যেন টেনে টেনে -
যেন কী একটা
অসহনীয় ভার চেপে বসেছে শরীরে,
যেন গভীর
এক বেদনা গলা টিপে ধরেছে তোর;
শেষ
বিকেলের রাঙা আলো পড়ছিল ক্লান্ত কপালে, চোখের পাতায়, চিবুকে।
কোনোদিনই
পিছু ডাকিনি তোকে, সেদিনও ডাকলাম
না।
সব
মানুষকেই নিজের ক্রুশ তো নিজেকেই বয়ে নিয়ে যেতে হয়।
সকলেরই
কষ্ট হয়।তবু যে সামনে থাকে তার ব্যথা বুঝতে পারে অন্যে।
আসলে
পিছন ফিরে তো কেউ তাকায় না।
No comments:
Post a Comment