একেকটা
দিন খুব নস্টালজিক হয়। যখন সেই দিনটার সঙ্গে কিছু স্মৃতি জুড়ে থাকে। স্মৃতিরা আসলে
পড়া হয়ে যাওয়া পুরোনো বইয়ের মতো। মাঝে মাঝে আবার উলটে পালটে পড়া। কোনও পাতায়
বুকমার্ক দেওয়া থাকে। কিছু পাতা আবার কখনওই পড়তে ইচ্ছে করে না আর।
একেকটা
দিন খুব নস্টালজিক হয়। যখন তার সঙ্গে কিছু গান জুড়ে থাকে। কিছুটা ছোটবেলা। হেমাঙ্গ
বিশ্বাস, ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়ার। টেপ বাজে সকাল-দুপুরে। অথবা মায়ের উদাত্ত গলা।
আমরাও গলা মেলাই – ‘নাম তার ছিল জন হেনরী’...। জন হেনরীর পাথর ভাঙার ছবি গানের শব্দ আর সুরে চোখের
সামনে স্পষ্ট হয়। মেরী ম্যাকডালিনের দুঃখে ছোট্ট বুকের ভেতরটা থমথম করে। একদম শেষে
পৌঁছে ‘বাবা তার আসবে না, আর না...’, মা যখন একটু গলাটা ভেঙে দিয়ে ‘হায়, হায়, হায়, হায়...’ টানটা দেয়, তখন সেই থমথমটা
চোখ দিয়ে গড়িয়ে আসে যেন।
বড় হয়ে
সুমনের প্রথম দিককার সেই সব গানগুলোর পরেই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার গানের
কথাগুলো ঠিক তেমনভাবেই নাড়া দিয়েছিল, ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’। অনেকদিন পর অন্যরকম সুরে
সুমনের গলায় শুনলাম ‘জন হেনরী’।
গান
বেঁচে থাকবে। সুর হয়তো বদল হবে কখনও, নতুন এক্সপেরিমেন্ট হবে। কিন্তু এই গানে যে
দিন বদলের সুর থাকে তার অর্থ কেবল সুমনের একটি গানেই প্রতিধ্বনিত হতেই থাকে, ‘আমি গান গাইলাম...যা ছিল
আগের মতো রয়ে গেল...।
তবু গান
তো গাইতেই হবে...
‘খুঁজি কোথায় কৃষ্ণচূড়ার একটি কুঁড়ি পাঁপড়ি
মেলে...’
No comments:
Post a Comment