‘কাজ শেষ
হল?’
জানলা দিয়ে মাথা গলিয়ে জানতে চায় বৃষ্টি।
বলি, না গো, অনেক বাকি।
‘চিঠি
পাঠিয়েছে দিগন্ত,
সব কাজ শেষ হলে উত্তর দিও -’
মাটির গন্ধ ভেসে আসে নিঃশ্বাসে।
ঘর গোছানো থামিয়ে ফিরে তাকালাম,
কয়েক ফোঁটা জল টেবিলে টলমল।
‘ছুটি হল
তোমার?’
ঠাণ্ডা হাওয়া আলগোছে কপালের চুল সরিয়ে বলে।
কলম থামিয়ে উত্তর দিই, নাহ্, কিছুই লেখা হয়নি,
মিল খুঁজে পাচ্ছিনা একটা ছন্দেরও।
‘দিগন্ত
বলে পাঠাল, ছুটি হলেই চলে এসো কিন্তু –’
চেয়ে দেখি খাতা উলটে পড়ে আছে একটা শূন্য!
‘অসুখ
সারল?’
ফুলের ডালিটা নামিয়ে রেখে জিজ্ঞাসা করে সুধা।
মাথা নাড়ি বিষাদে, দেখছ না, ওষুধের পাহাড় জমেছে।
দক্ষিণের জানলাটা আজও কেউ খোলেনি।
রাজার চিঠির অপেক্ষায় বসে আছি সেই কবে থেকে।
‘চিঠি পেলেই
ডাক দিও তাহলে,
দিগন্তরেখায় মালা গেঁথে অপেক্ষা করে থাকব।’
হাত ধরতে যেতেই ছেলেবেলার জানলা থেকে হারিয়ে গেল সে।
হাতের সব কাজ থামিয়ে, কলম নামিয়ে রেখে ভাবি,
ঠিক সেরে উঠব এবার, আর তারপর
ছুটি হলেই রাজার চিঠি সঙ্গে নিয়ে
ওইদিকে যাব – ওইদিকে।
যেখানে আকাশ এসে মাটিতে মেলে -
দিগন্তরেখায়।
No comments:
Post a Comment