উর্জা
প্রশ্ন করে, ‘কথা না শুনলে কী হবে?’ হয় দুষ্টুমি করছিল, নয়
খাচ্ছিল না। পিপিয়া বলে, কথা শুনছ না তো, মা সব দেখতে পাবে, বাড়ি ফিরেই দেখবে কী
হয়। ভারী আশ্চর্য হয়ে বলে, ‘মা তো এখানে নেই, কী করে দেখবে?’ পিপিয়া ততোধিক আশ্চর্য হয়ে
বলে, ওমা, তুই তাও জানিস না? মায়েদের চারদিকে - সামনে পেছনে, কাছে দূরে সর্বত্র চোখ থাকে। আমিও তো মা,
দিদিয়াকে জিজ্ঞাসা করে দেখ। শিশু তো, তাই সত্যি কথা কত অনায়াসে বিশ্বাস করে।
একটু
আগেই বন্যপ্রাণের সম্পাদককে বলছিলাম যে, এর আগে এইসব লেখা চুরি জাতীয় দু-চারটে যা
ছুটকোছাটকা ঘটনা চোখে পড়েছে বা পড়িয়েছে, সেগুলোর কোনটাই এমন বিচ্ছিরিরকমের ছিলনা।
যেমন, এক ভূগোলের মাস্টারমশাই তাঁর ওয়েবসাইটে বোধহয় ছাত্রদের বোঝানোর সুবিধার জন্য
‘আমাদের ছুটি’-র দু-একটা লেখা রেখেছিলেন,
দু-একজন লেখকও আমাদের না জানিয়ে কখনও অন্য জায়গায় একই লেখা প্রকাশ করেছেন এরকম আর
কী। এগুলোকে খুব একটা আমরা পাত্তাও দিইনি। নিজেরাই কথা বলে একরকম রফায় এসেছি।
কিন্তু তাই বলে পুকুর চুরি হলে তো সর্বসমক্ষে বলতেই হয়। সত্যি আমি খুব আশ্চর্য
হয়েছি, একথা বলেই ফেললাম তাঁকে।
‘আমাদের ছুটি’-র বয়স মাত্র পাঁচ বছর। প্রতি
মাসে ‘আমাদের ছুটি’-র ওয়েবসাইটের ভিউয়ার সংখ্যা মোটামুটি সাত-আট হাজার। যেমাসে
পত্রিকা বেরোয় সেটা দশও ছাড়িয়ে যায়। ‘আমাদের ছুটি’-র ফেসবুক গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ছাব্বিশ হাজার ছাড়িয়েছে।
প্রতিদিন অনেক অ্যাড রিকোয়েস্ট আসে। পেজের মেম্বার সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে।
প্রতিদিনই বেশ কিছু লাইক পড়ে। ফলতঃ যেখানেই লেখা না জানিয়ে পুনঃপ্রকাশ হোক, কেউ না
কেউ ঠিক জানাবেই।
আর আমি যে চতুর্দিকে খুব ভালো দেখতে পাই, সে আমার মেয়ে জানে। ‘আমাদের ছুটি’ তো ওরই কনিষ্ঠ।
আসলে
মায়েরা সব জানতে পারে।
No comments:
Post a Comment