বন্ধুবর,
অপার্থিব
কিছু পাওয়ার জন্য ভয়াবহ এক পার্থিব দৌড় দিয়েই আমার এই পত্রাঘাত শুরু করলাম। এরপর
নাহয় আমার ডায়েরি পোড়ো। লাদাখ জায়গাটা আমার তো খানিক অপার্থিবই লেগেছে, তার ওপরে
আমার ভোদাফোনের টাওয়ার অর্থাৎ বাকী পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না, কাজেই অপার্থিব
ভাবাটা ঠেকাচ্ছে কে? অবশ্য লেহ্-এর হোটেলে দিন দুয়েক ফ্রি ওয়াই-ফাই পেয়ে ছিলাম,
ওই যাকে বলে বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ...!
যাকগে যা
বলছিলাম, ১৩ অক্টোবর ভোর তিনটেয় উঠে চারটের মধ্যে জে এন ইউ-এর গেস্টহাউস থেকে দিল্লি
এয়ারপোর্টের দিকে রওনা গাড়িতে। পৌঁছে বিস্তর চেকিং-এর হ্যাপা শেষ করে সবে টয়লেট
থেকে বেরিয়েছি, ওমা শুনি এয়ার ইন্ডিয়ায় ফাইনাল কল হয়ে গেছে। তখনও প্রায় আধ ঘন্টা বাকী।
আর আমাদের টার্মিনাল ষাট। বোঝো ঠেলা! মালপত্র নিয়ে দৌড় দৌড় দৌড়। ওই যে, প্লেন ধরা
সহজ নয়। সবার আগে দীপ আর সৌম্য। দীপের ফোনে মাঝে মাঝেই এয়ার ইণ্ডিয়ার তরফ থেকে প্লেনে
না উঠতে দেওয়ার হুমকি আসছে। যাইহোক, আমি আর মেয়ে কোথাও দাঁড়াইনা, এমনকী চলমান পথের
থুড়ি এসকালেটরের ওপর দিয়েও দৌড়াই প্রাণপনে। লড়ঝড়ে শরীরে ব্যথা জানান দেয় এদিকে
সেদিকে, সে ভাবার সময় নেই ৩৫-৩৬...৪২-৪৪...৫৬-৫৮...ওই এসে গেল প্রায়..৫৯-৬০...উফফফফ...,
আমি আর বুই পৌঁছেও যাই হাঁপাতে হাঁপাতে। চিন্তা শুধু বীরেনকে নিয়েই। বুকে যন্ত্র
বসানো, ওর না আবার শরীর খারাপ করে। শুনি দীপ আর সৌম্যের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার
কাউন্টারের লোকজনের হিন্দিতে গরমাগরম বাতচিত চলছে। আমিও লালমোহনীয় হিন্দিতে যোগ
দিই। আরে, আপনারা যখন ফোন করেছেন, তখন তো আমরা আসছিলামই, কে জানে দিল্লি এয়ারপোর্ট
এত লম্বা আর আমাদের সঙ্গে একজনের বুকে পেসমেকার বসানো আছে, কতটা তাড়াতাড়ি আসা
সম্ভব। ওরাও হুমকি দেয় আপনাদের মালপত্র সব নামিয়ে দেব, তখনও দশ মিনিটের বেশি সময়
হাতে রয়েছে। বু আর বুই দুজনেরই আবার জুতো খুলিয়েছে, বাব্বা বাব্বা, জুতোর ফিতে
বাঁধার সময়টুকু তো দেবে! এ যেন আমাদের শঙ্করীদি, বৌদি তাড়াতাড়ি বল কী রান্না হবে,
হুড়মুড়িয়ে রান্না করে সময়ের আগে সব্বাইকে খাইয়ে দিয়ে বাসনটা মেজে ফেললেই ব্যস, কাম
ফতে।
যাইহোক,
সবশেষে বীরেন আর টুসিকেও দেখা যায়। আমরা উৎসাহিত গলায় বলি, ওই তো এসেই গেছে, কাউন্টারের
লোকদুটিও গজগজ করতে করতে ক্ষান্ত দেয়। পৌঁছে বীরেন হাঁপাতে হাঁপাতে বলে, আমি তো
ভাবলাম আর ধরতেই পারব না। দীপ হিসেব কষে আশ্বাস দেয়, আরে এখনো প্লেন ছাড়ার সিডিউল
টাইম হয়নি, আমাদের কাছে টিকিট আছে, উঠতে দেবে না মানে? আমাদের লাগেজ খুঁজেপেতে
নামাতে আরও দশ মিনিট তো লেগেই যেত, আর ইতিমধ্যে আমরা উঠে পড়লে আবার লাগেজও ওদের
ওঠাতেই হোতো। অতএব...। যাইহোক আমরাও টপাটপ প্লেনে চড়ে বসি আর দুগ্গা দুগ্গা বলে নির্ধারিত
সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই প্লেন গড়াতে শুরু করে।
দাঁড়াও,
আগের কথা আগে সেরে নিই, তোমাকে তো বলেইছিলাম যে, অনেকদিন ধরেই আমাদের লাদাখ বেড়াতে
যাওয়ার পরিকল্পনা চলছিল, মানে চলেই যাচ্ছিল। যেবারে প্রায় সব ঠিকঠাক, সেবারেই
বীরেনের বুকে পেসমেকারের মতো যন্ত্রটা বসল আর তাই আপাতত পিছিয়ে গিয়েছিল। মুশকিল
হচ্ছে, ইদানীং বীরেনের মনে হচ্ছে, যন্ত্র নিয়ে আর কতদিন চলবে, তাই লাদাখ দেখা হয়ত
আর হবে না। অতএব ডাক্তারকে বলেটলে সব ফাইনাল করা হল। বেশি হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি
ভাঙা চলবে না, নিজের শরীর বুঝে বাকীটা। ওদিকে যাওয়ার দিন যত কাছে আসে আমার নিজের
শরীরগতিক ততো খারাপ হতে থাকে। কিন্তু না, ক্যানসেল করলে বীরেন ভারী কষ্ট পাবে।
নিজেকে তাই বলি, ওঠো হে।
তা উঠেই
পড়ি ১০ তারিখ বিকেল চারটে নাগাদ রাজধানী এক্সপ্রেসে। সেই কোন ছোটবেলায় আনন্দমেলায়
সমরেশ বসুর লেখা গোগোলের অ্যাডভেঞ্চার ‘রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য’ পড়ে
রাজধানী এক্সপ্রেসে চাপবার সখ হয়েছিল, তা এ্যাদ্দিনে পূরণ হল। ভাগ্যিস, দীপের এল
টি সি ছিল, আর ভাগ্যিস, আমি মনে মনে বড় থুড়ি হোৎকা হয়ে যাইনি, তাই ছোটবেলার মতোই
মজা পেলাম। ট্রেনে ডায়েরি লিখিনি, চলমান জানলার পাশে বসে স্রেফ খান দুয়েক কবিতা।
দিল্লি পৌঁছে গাড়ি ভাড়া করে জে এন ইউ-এর দিকে রওনা। ওখানেই গেস্টহাউসে আমাদের জন্য ঘর বুক করে রেখেছিল আমার হস্টেলের বন্ধু পালু, অর্থাৎ শর্মিষ্ঠা পাল। এই প্রথম স্যুটে থাকলাম সেও এক ছেলেমানুষী মজা আর কুড়ি বছর পর আরও এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা সেও দারুণ মজার।
আমাদের
ঠাঁই হল আরাবল্লী ইন্টারন্যাশনাল গেস্টহাউসে। গেস্টহাউসের অন্য একটা উইং-এ খাবার ঘরে
দুপুরের খাওয়ার পালা শেষ করতে না করতেই পালু, শোভন আর ওদের ছোট্ট ছেলে ধিঙ্গিপদ
হাজির। ছোট ছোট বেগুনের মাখা তরকারিটা দিব্য হয়েছিল। দুপুরের গণগণে রোদের মধ্যেই
ওদের সঙ্গে পার্থসারথী রকে পৌঁছে ঘোরাঘুরি হল। সেখান থেকে নেমে ওরা ফিরে গেল, আমরা
চললাম কুতুব মিনার দর্শনে।
ইতিহাসের
আনাচে-কানাচে ঘুরতে ঘুরতেই মাথা আক্ষরিক অর্থে ঝিমঝিম। সন্ধ্যাবেলায় পালুদের
বাড়িতে স্ন্যাকসের নেমতন্ন, ও নানারকম খাবার বানাতে খুব ভালোবাসে। চন্দনদা বলে, চল
স্নেক খেয়ে আসি। পালুর বাড়ি পৌঁছে মাথায় জল ঢালি হুড়মুড়িয়ে, তারপরে বিছানায় বেশ
খানিকক্ষণ গড়াগড়ি দিই। তারপর পালুর বানানো ফিস ফ্রাই আর দুরকমের কেক খেয়ে ক্রমশঃ
চাঙ্গা হই। ওরই মধ্যে বীরেন টুসিকে বলে দারুণ এই ফিসফ্রাইটা বানানো শিখে নিতে,
নিরামিষাষী চন্দনদা চুমকিকে পালং শাকের নিমকি শিখে নিতে উৎসাহ দেয়। আর আমি বলি কী,
এসবের থেকে এমন বন্ধু থাকাটাই ভালো নয় কি যে সবই বানাতে পারে, একটু কষ্ট করে শুধু
তার ঠিকানায় পৌঁছে গেলেই হল। পেট প্রায় ভরাই, তাই রাতের খাওয়ার জন্য কেউ আর নড়তে
রাজি হল না, শোভন, বীরেন আর দীপ গিয়ে কাছের ধাবার থেকে খাবার নিয়ে আসে। এত খাবার
শেষও হয়না। খাওয়ার শেষে দফায় দফায় আমাদের গেস্টহাউসে পৌঁছে দেয় শোভন। আসলে জে এন
ইউ-এর চত্ত্বরটা এত বড় যে হেঁটে যাওয়ার জন্য অনেকটাই। ভারী ভালোলাগে সবুজ গাছে
ছাওয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। বুইকে বলি, ভালো করে পড়াশোনা কর, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে যদি
আসতে পারিস। তবে বুইয়ের আকর্ষণ পড়াশোনা নয়, ধিঙ্গিপদ – মা ভাইটা কি মিস্টি না?
আমার প্রায় সতের বছরের মেয়ে বলে। ভাইয়ের সঙ্গে তার বড্ড ভাব। ওদিকে জে এন ইউ
ক্যাম্পাসে কুড়িয়ে পাওয়া ময়ূরীর পালক তার টুপিতে গোঁজা। সেটা নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে
কাড়াকাড়িও চলে রীতিমতো।
এতো গেল
আগের কথা। তারপরে তো ১২ তারিখ ভোরে উঠে রোক্কে রোক্কে বলে আমরা প্লেনে চেপে
পড়লাম সদলবলে। সদলবলে মানে, আমরা তিনজন, বীরেন, টুসি, বু আর
সৌম্য। চন্দনদা, চুমকি অন্য প্লেনে পরে আসছে। প্লেনে সবারই একটা করে জানলা। দীপের এল টি সি-র কল্যাণেই আমার যা একটু-আধটু
প্লেনে চড়া। প্লেনে উঠলেই নিজেকে কেমন বুড়ো আঙলার রিদয়ের মতো লাগে আমার। সেই
হাঁসের পিঠ থেকে দেখা খেলনার মতো ছোট্ট ছোট্ট বাড়িঘর, সবুজ চৌখুপী ক্ষেত, নদী আর
রাস্তার দাগ। ওপর থেকে পৃথিবীটাই এত ছোট হয়ে যায় যে মনে হয়, মানুষ মিথ্যেই শুধু নিজেদের
মধ্যে হানাহানি, কাটাকাটি করে, পুরোটাই কী বিষম অর্থহীন। লাদাখ-কাশ্মীর বেড়ানোয়
প্রায়ই এই কথাই মনে হয়েছে মিলিটারি সেনা আর সাধারণ মানুষদের জীবন দেখতে দেখতে।
মেঘেদের
রাজ্যে রোদের ঝলক পেরিয়ে যেতেই চোখে পড়ে নীচে কারাকোরামের বিরাট রেঞ্জ। কোনো
পাহাড়ের মাথায় বরফের সাদা চাদর, কারোর বা মেঘের। মেঘ আর বরফ মিলেমিশে রোদ-ছায়ায় সে
এক অপরূপ দৃশ্য। শুধুই মুগ্ধ হওয়া।
প্লেন থেকে
নেমে লেহ্-এর লাউঞ্জেই আমরা গড়াগড়ি যাই। বাপরে কী ঘুম পাচ্ছে, ওদিকে এয়ারপোর্টে
ঘোষণা হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় লেখা রয়েছে দিনের বেলায় ঘুমাবেন না। কী জ্বালা!
চন্দনদাদের ফ্লাইট পরে, ফলে অপেক্ষা আর অ্যাক্লিমাটাইজেসন দুটোই সাথ সাথ হতে থাকে।
চন্দনদারা পৌঁছালে এয়ারপোর্টের বাইরে পা রাখতেই লেহ্-এর রূক্ষ্ম সৌন্দর্য মুগ্ধ
করে আমাদের। কিন্তু দেখি গাড়ি নাই। ফলে আবারও অপেক্ষা এবং নিজেদের পোঁটলাপুঁটলি
হাতড়ে বিস্কুট, চিঁড়ে, ছোলা ভেজানো, কোল্ড ড্রিঙ্কস এসব খাওয়া। বাপরে কী ভীষণ খিদে পেয়েছে। আমার তো
প্লেনেই পাশের লোকটা না খেয়ে প্লেট ফেরত দিচ্ছে দেখে ওর খাবারটাই খেতে ইচ্ছে
করছিল, নেহাত চক্ষুলজ্জার খাতির। তবে আমরা সকলেই নিশ্চিন্ত যে যেরকম খিদে আর ঘুম
পাচ্ছে তাতে আমরা বেমালুম অ্যাক্লেমাটাইজড।
অবশেষে
গাড়ি পাওয়া গেল। আমাদের ড্রাইভারের নাম থুড়ি টাইটেল তুন্ডুপ। লেহ্-এর নেড়া পাহাড়
আর লাল-সবুজ-হলুদ রঙিন গাছের রূপ দুচোখ ভরে দেখতে দেখতে মূল বাজার চত্ত্বরে
পৌঁছাই। অক্টোবরের পাতা ঝরার সময় বলেই প্রকৃতির এত বিচিত্র রূপ। এবার হোটেলের
সন্ধান করতে নামে দীপেরা। আর তুন্ডুপ গল্প জোড়ে আমার সঙ্গে – হিন্দিতে জিজ্ঞাসা
করে, আপনারা নমস্তে কে কী বলেন? আমি বলি, নমস্কার। তুন্ডুপ হাসিমুখে বলে, নমস্কার,
নমস্কার, জুল্লে জুল্লে। আমরা বলি, জুল্লে। লাদাখে দিন কাটাতে কাটাতে ক্রমশঃ জানতে
পারি, গুড মর্নিং, গুড ডে থেকে গুড বাই সবই ওদের কাছে, ‘জুল্লে’। পথেঘাটে সর্বত্র
লেখা থাকে, ‘জুল্লে’। আর সর্বত্র চেনা-অচেনা লোকজনেরা দেখা হলে হাসিমুখে বলে ওঠেন,
‘জুল্লে’। এই মায়াময় শব্দটা তাই বড় ভালোলেগেছে আমার।
১২ তারিখ
হোটেলে পৌঁছতেই দুপুর। হোটেল ‘বিমলা’, উচ্চারণ হবে, বিম্লা। মালকিনের মেয়ের নামে।
কেয়ারটেকার ধনগিরির সঙ্গে ক্রমশঃ আলাপ জমে ওঠে। এই ছেলেটি একেবারে বিভূতিভূষণের
লেখা থেকে উঠে আসা একটি চরিত্র। এর কথা
পরে লিখছি। তিনতলায় কাঁচে মোড়া চারটে ঘর। ঝলমলে দিন, ঘর থেকেই দেখা যায় একপাশে
লেহ্ প্যালেস আর অন্যদিকে বরফমাথা পাহাড় স্তোক-কাংড়ি। হোটেলের বাগানে আপেল গাছে
লাল-সবুজ আপেলের ভিড় নজর এড়ায় না কারোরই। ঢুকেই রিশেপশনের আগে বাইরে টেবিলের ওপরে
রাখা একটু পোকায় কাটা কী দাগ লাগা বাতিল আপেল দিয়ে আমাদের আপেল খাওয়ার শুরু হয়,
তারপরে বীরেন হাত বাড়ায় গাছের দিকে। তবে আপেল পর্বও বিরাট, তাই ক্রমশঃ প্রকাশ্য।
আপাতত এদিন বিশ্রাম, শরীরের সঙ্গে
উচ্চতাকে মানিয়ে নেওয়া আর বেড়ানোর পরিকল্পনা ঠিকঠাক করে ফেলতে গাড়ির সঙ্গে দরাদরি।
অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ, লাদাখের সিজন শেষ, তাই হোটেল, গাড়ি আগে থেকে কিছুই ঠিক
করে রাখা হয়নি, পৌঁছে যাকিছু করা যাবে, ভিড় তো নেই, এই ভরসায়।
বেড়ানোর
শুরু ১৩ তারিখ থেকে, আমার ডায়েরিরও। ‘আমাদের ছুটি’-র সুবীরদার রেফারেন্সে হাসানের
সঙ্গে কথা পাকা হয়, টেম্পো ট্রাভেলর, চোদ্দো জনের সিটে আমরা ন’জন আর ব্যাগব্যাগেজ।
ড্রাইভার আর গাড়ির মালিক যে তার নাম মানে টাইটেলও তুন্ডুপ।
এবারে
ডায়েরির পাতায় চোখ বুলাই। বেশিটাই লিখেছি পথে, গাড়ির ঝাঁকুনি খেতে খেতে, তাই নিজের
হাতের লেখা নিজের কাছেই দুর্বোধ্য এখন। উদ্ধারের একটা চেষ্টা করে দেখা যাক। এই
ডায়েরি লেখার ঠেলায় এবারে একপাটি গ্লাভস হারিয়েছি। খোদ ডায়েরিটাও বার দুয়েক অন্ততঃ
হারাতে হারাতে কান ঘেঁষে বেঁচে গেছে। আর আমার ঘড়ির ব্যান্ড লুজ হয়ে যাওয়ায় পরের
দিকে কটা বাজে বলে সব্বাইকে বিস্তর জ্বালিয়েছি। চন্দনদাই বোধহয় মন্তব্যটা করেছিল,
তুমি তো দেখছি প্রফেসর শঙ্কুর মতো ডায়েরি লিখছ। অনেকসময় কেবল নোট রেখেছি, সেগুলোও
ঠিকঠাক করে দাঁড় করাতে হবে। তবে দীপ আমার লেখার পরিমাণ দেখে বলেছে, এই যা লিখেছ,
এটাই তো অনেক। সে যাইহোক ...