কারও কারও মুখোশ খুলে দেওয়াটা দরকার।
আমরা সকলেই তো কোনো না কোনো সময় মুখোশ পরে থাকি…
ভালোমানুষের মুখোশ।
সততার মুখোশ।
মহত্ত্বের মুখোশ।
আর তাই মাঝে মাঝে সেইসব মুখোশ
টেনে খুলে দেওয়াটাই উচিত।
কারণ, এখনো কেউ কেউ পারে;
এই পৃথিবীতেই, কেউ কেউ পারে
সাহস করে মুখোশ খুলে চলতে।
অনায়াসে দেখাতে পারে
ঘৃণা, রাগ, এমন কী ভালোবাসাও।
আর তখনই সেই সব মুখোশ পরা মানুষেরা
আয়নায় নিজেদের বীভৎস মুখ দেখে শিউরে ওঠে।
তাড়াতাড়ি ভদ্র-সভ্য মুখোশটা টেনে দেয় মুখে।
তারপর খেপে ওঠে মুখোশহীন মানুষগুলোর ওপর।
চিৎকার করে বলে – ছি, ছি তোমাদের বুকের ভাঁজ, উরু
সব দেখা যাচ্ছে – বোরখা পর, বোরখা পর।
মুখোশ না পরলে তুমি আবার মানুষ নাকি?
আর তাই মুখোশহীন মানুষগুলো
তাদের রাগ কিম্বা ঘৃণার মুহূর্তে
টেনে ছিঁড়ে দেয় অন্যের মুখোশ।
আর মুখোশহীন সেইসব প্রেতাত্মারা
দুহাতে মুখ ঢাকতে ঢাকতে ওরই ফাঁকে
ছুরি বসিয়ে দেয় মুখোশহীন মানুষটির বুকে।
তবু, কিছু মানুষ আজো মুখোশহীন থাকতে ভয় পায় না।
তবু, কিছু মানুষ আজো টান দিয়ে ছিঁড়ে দিতে দ্বিধা করে না
অন্য কারো কারো রঙিন ভদ্র ঝলমলে মুখোশ।
No comments:
Post a Comment