‘হুগো’-র ছবি এঁকেছিলাম। কিন্তু ‘হুগো’-কে নিয়ে
লিখিনি। কী আশ্চর্য! অথচ কী বই, কী সিনেমা দুটোই অদ্ভুত ভালো লেগেছিল। তেমনই ভালো লাগল
ব্রায়ান সেলজনিক-এর নতুন বই ‘দ্য মার্ভেলস।‘
একটা বিষয়ে নিশ্চিন্ত হলাম যে যাক, সারাক্ষণ কল্পনার জগতে
আমি একাই থাকিনা এই বুড়োবয়সে। আরো আরো লোকজনও থাকে। আর তেমনই এক মানুষ ডেভিস সারভার।
আপন মনের কল্পনাকে রূপ দিতে লন্ডনের বুকে এক পুরোনো বাড়ি কিনে তাকে এমন অ্যান্টিকভাবে সাজিয়ে ফেললেন যেন
সময় পিছিয়ে গেল একশো বছর। আর সেই বাড়িতে থাকা এক কাল্পনিক পরিবারকে নিয়ে তৈরি
করলেন যেন এক রূপকথার গল্প। হ্যাঁ, বইয়ের দু পাতার মধ্যে নয়, সত্যি ত্রিমাত্রিক কী
চতুর্মাত্রিক এক গল্প তৈরি করেছিলেন ডেভিস। তাঁর একটাই দুশ্চিন্তা ছিল যে, তাঁর
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ফুরিয়ে যাবে, স্তব্ধ হয়ে যাবে সেই কাহিনির গতি। কিন্তু কী
আশ্চর্য জুটে গেল অমনি খেপা আর এক বন্ধু ডেভিড মিলনে। ডেভিস এর মৃত্যুর পর এক
ট্রাস্টের মাথা এই ডেভিড পরম যত্নে বাঁচিয়ে রেখেছে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতি সেই
গল্পবাড়িটি। আর এই গল্প বাড়িটি নিয়ে লেখায় আঁকায় দুই মলাটের ভেতর চমৎকার আর এক
গল্প বানিয়ে ফেললেন ব্রায়ান। যে গল্পে ডেভিসের কাল্পনিক চরিত্র জার্ভিস হয়ে গেল
সত্যিকারের আর সৃষ্টি করলেন নতুন এক কাল্পনিক পরিবারের – মার্ভেলস।
পুরো গল্পেরই মূল কথা – তুমি যদি দেখতে পাও তাহলে সবই আছে, আর না পেলে কিছুই
নেই। সত্যিই গল্পের দুনিয়া আমার মতো মানুষের কাছে তো তাই?
No comments:
Post a Comment