সন্ত্রাস রাষ্ট্রীয় হোক, অন্ত:রাষ্ট্রীয়
বা আন্ত:রাষ্ট্রীয় তার প্রাথমিক শিকার হয় মেয়েরা। প্রাথমিকভাবে সমাজের নীচুতলার মেয়েরা।
যাদের অবস্থান নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্তে। যুদ্ধের ক্ষেত্রে অবশ্য এই বাছবিচারটুকু
মুছে যায়। আসলে বিষয়টা হল শারীরিকভাবে দূর্বল এবং সামাজিকভাবে গৌণ ভেবে নেওয়া মেয়েদের
ওপর দখলের মাধ্যমে পুরুষতান্ত্রিকতার নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ।
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গকে কেন্দ্র
করে যেমন তাপসী মালিকের নাম উঠে আসে তেমনি তার সমসাময়িক, পূর্ববর্তী বা পরবর্তী রাজনৈতিক
পটভূমিকায় আরো আরো অন্য অন্য নাম। আর নামহীনেরা রাজনীতির সুবিধাবাদ থেকে বেঁচে যায়
এইটুকুই যা।
আসলে ওই নামগুলো নামই থাকে, ইতিহাসের জন্মলগ্ন
থেকে। দ্রাবিড় কন্যা শূর্পনখার নাক-কান কেটেছিল আর্য লক্ষণ। শূর্পণখা তাই গল্পে রাক্ষসী
হয়ে থাকে।
কী আশ্চর্য তারপরেও নাক-কান কাটা, কী পোড়া
মুখ নিয়ে শূর্পণখারা বেঁচে ওঠে। পারলে হয়তো ফিরে আসত লাশকাটা ঘর থেকেও। আর তাই যে কোনও
সন্ত্রাসেই তাদের নিশ্চিহ্নকরণ রাজনৈতিকভাবেই জরুরি হয়ে পড়ে।
No comments:
Post a Comment