ট্রামটা
ধর্মতলার কাছাকাছি পৌঁছেচে। এতক্ষণ গরমের দুপুরের হালকা ভিড়ে বেশ টুংটাং মেজাজে
চলছিল। ড্রাইভারের একটা বসার সিট আছে। সাধারণত থাকে না। ট্রাম স্টপেজে থামলে তিনিও
একটুখানি বসে নেন। তারপর আবার উঠে পড়েন। পায়ের কাছে রয়েছে বেল। কেমন একটা নাচের ভঙ্গীতে
মাঝে মাঝে পা ঠোকেন আর টুংটাং বেজে ওঠে অমনি।
ভীড়ের
মুখে অসহায় অসহিষ্ণু মুখ তাঁর। ট্রাম তার নিজের লাইন ছেড়ে কোথ্থাও যেতে পারে না।
অথচ তার লাইনে উঠে আসে বাস অটো বাইক সব্বাই। বারবার পা ঠোকেন ড্রাইভার। নির্লিপ্ত
মুখে ট্রামলাইন পেরিয়ে যায় পথচারী, দিচক্রযান, চারচাকারাও। তাকে কেউ রাস্তা ছাড়ে
না।
বেশ
কিছুদিন আগের কথা। মেয়ের পরীক্ষার শেষদিনে ওকে স্কুলে দিয়ে আমরা ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে
ট্রামসফরে বেরিয়েছিলাম।
ড্রাইভারের
পেছনের সিট থেকে দেখছিলাম...
খানিক
বাদে একটু হালকা হলে বেশ কয়েকবার বেল দিয়ে বিরক্ত জনস্রোত সরিয়ে ট্রাম আবার এগিয়ে
চলে তার শেষ গন্তব্যে।
No comments:
Post a Comment