একদল
জঙ্গী যখন কয়েকজন মানুষকে হত্যা করে তখন নাম-পরিচয়ে-আত্মীয়তায় সনাক্তকরণে আমরা
বিদ্ধ হই,
রক্তাক্তও। আর রাষ্ট্র যখন এক একটা বোমার আঘাতে হাজার হাজার
মানুষকে হত্যা করে তখন তারা একেবারে সব শুদ্ধু নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। অপরিচিত আমরা সে
ছবি দেখতে দেখতে অনায়াসে ডিনার শেষ করে ফেলি। কই রক্তাক্ত হই না তো? ফ্রান্সে জঙ্গী হানার জন্য প্রোফাইল পিক বদলাই। সিরিয়ার ওই
যে চার বছরের শিশুটি ক্যামেরা দেখে বন্দুক ভেবে মাথার ওপর হাত তুলেছিল, তার সামনে মাথা নীচু করি না তো!! কারণ সে আন আইডেন্টিফায়েড।
অথচ সে কিন্তু এই তৃতীয় বিশ্বেরই শিশু।
ফার্স্ট
ওয়ালর্ড কান্ট্রিগুলোর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের ফসল এই জঙ্গী বিশ্ব।
রাষ্ট্রীয়
এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দেওয়ার এটাও একটা
উপায়,
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির অভ্যন্তরে জঙ্গীদের লালন করা।
সন্ত্রাস
তো সন্ত্রাসই হয়। তা যে নামেই হোক। ক্ষুদ্র সন্ত্রাস দিয়ে বৃহৎ সন্ত্রাসকে চিরকাল
ঢেকে রাখা কি সম্ভব?
No comments:
Post a Comment